ইউক্রেনে হামলা করলে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে রাশিয়াকে : ফোনে পুতিনকে বাইডেন
চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যে সংকট সমাধানে ফোনে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও উত্তেজনা হ্রাসের আশা ক্ষীণ দেখে, নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানিসহ অনেক দেশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে এমনটি বলা হয়।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪ মিনিটে রুশ প্রেসিডেন্টকে ভিডিও কল দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ফোনালাপে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিণতির বিষয়ে পুতিনকে সতর্ক করেন বাইডেন।
বাইডেন পুতিনকে বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে ওয়াশিংটন এবং এর মিত্ররা ‘সক্রিয়ভাবে’ জবাব দেবে। সেক্ষেত্রে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে রাশিয়াকে।”
ফোনালাপ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র এখনও কূটনৈতিক আলোচনায় আস্থা রাখছে, তবে একইসঙ্গে ‘অন্য পরিস্থিতির’ প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, ভারী সাঁজোয়া যান নিয়ে যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর। কীভাবে শত্রুকে ধোঁকা দেওয়া যায়, কীভাবে শত্রু আস্তানা গুড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা যায়, সে কৌশলই রপ্ত করছেন দেশটির সেনা সদস্যেরা। আর প্রতিপক্ষকে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিজ চোখে পরখ করতে উপস্থিত ছিলেন খোদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোমিদির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোমিদির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যেকোনো দিনই রাশিয়া আমাদের ওপর হামলা চালতে পারে। তাই আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। কারণ ২০১৪ সালেও কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল না যে, তারা আমাদের ওপর হামলে পড়েব। তাই এবার আর সে ভুলটা করতে চাই না। এজন্যই সেনাবাহিনী নিজেদের প্রস্তত করছে।’
একই রকম আশঙ্কা ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রেরও। রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পরে বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। এজন্য প্রস্তুত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় কিয়েভ মার্কিন দূতাবাসে জরুরি নয়—এমন কর্মীদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একই সঙ্গে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের সব পরিসেবাও স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সাধারণ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছিল দেশটি।
যদিও রাশিয়া বলছে ভিন্ন কথা। মস্কো’র দাবি, আগ বাড়িয়ে কোনো সংঘাতে জড়াবে না তারা। যুদ্ধ বাঁধাতে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষ কর্মকর্তারা, মার্কিন গণমাধ্যম উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ রুশ পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার। যদিও সীমান্তে বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে দশ দিনব্যাপী সামরিক মহড়া চালাচ্ছে রাশিয়া।