কী নিয়ে কথা বলবেন আজ বাইডেন-পুতিন
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘বিভিন্ন বিষয়ে’ আজ বৃহস্পতিবার ফোনালাপ করবেন। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা আলোচনার জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দুই নেতা এ আলাপ করতে যাচ্ছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি’র বরাতে সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নারী মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই নেতা ‘বিভিন্ন বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করবেন। এসবের মধ্যে রয়েছে আগামীতে রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়।
এদিকে, সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে—বাইডেন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার বলেছেন, জো বাইডেন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজবেন।
বুধবার ওই মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আরও আগ্রাসন চালায়, তাহলে আমরা তার জবাব দিতেও প্রস্তুত।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপটি ১০ জানুয়ারি জেনেভায় অনুষ্ঠাতব্য উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার আগেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। তবে, কোনও প্রেসিডেন্টই সে আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন না বলে মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন দুই নেতার ফোনালাপ সম্পর্কে ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই নেতা ‘আসন্ন কূটনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।’
ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে আনুমানিক এক লাখ রুশ সৈন্যের সমাবেশ দেখে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন আশঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্রদের পক্ষ থেকে বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে আলোচনাটি হতে চলেছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ব্লিনকেন ‘ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক স্থাপনার মুখে ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
নেড প্রাইস বলেছেন, অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি পূর্ব ইউক্রেনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচেষ্টা এবং রাশিয়ার সঙ্গে আসন্ন কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
ভ্লাদিমির পুতিন এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনে ন্যাটোর সম্প্রসারণ পরিহার করে, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তার চাওয়া পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তিনি বেশ কয়েকটি বিকল্পের বিষয়ে চিন্তা করবেন।
এ মাসের শুরুর দিকে মস্কো একটি খসড়া নিরাপত্তা নথি জমা দেয়। যাতে দাবি করা হয়—ন্যাটো ইউক্রেন এবং অন্যান্য সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সদস্যপদ প্রত্যাখ্যান করবে, এবং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন করা তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করবে।