কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মিশ্র ডোজ ভালো ফল দিতে পারে : আইসিএমআর-এর গবেষণা
দুটি ভিন্ন কোভিড টিকার দুই ডোজ নিলে ভালো কার্যকারিতা মেলে বলে দাবি করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)। বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
আইসিএমআর পরিচালিত একটি গবেষণার বরাতে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকার একটি করে দুটি ডোজ নিলে সুরক্ষা ও অনাক্রম্যতা বেশি হয়।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন কোভিড টিকার দুটি ডোজ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মতো রাজ্যে অভিযোগ উঠেছে, প্রথম ডোজে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজে দেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিন। কোথাও আবার প্রথমে কোভ্যাক্সিন এবং পরে কোভিশিল্ড দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের ১৮ জন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালিয়েছিল আইসিএমআর। ওই ব্যক্তিদের দুর্ঘটনাবশত প্রথম ডোজ হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ প্রদান করা হয়েছিল। এবং দ্বিতীয় ডোজে দেওয়া হয়েছিল ‘কোভ্যাক্সিন’।
আইসিএমআর’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—দুটি ভিন্ন টিকার দুই ডোজ নেওয়া ১৮ জনের সঙ্গে যারা ‘কোভিশিল্ড’ বা ‘কোভ্যাক্সিন’ (প্রতিটি গ্রুপে ছিলেন ৪০ জন। অর্থাৎ ৪০ জন পেয়েছেন ‘কোভ্যাক্সিন’, বাকি ৪০ জনকে ‘কোভিশিল্ড’ দেওয়া হয়েছিল) পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে টিকার সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত তথ্যের তুলনা করা হয়েছিল।
তিনটি গ্রুপে মধ্যে যে গ্রুপের সদস্যদের ‘কোভিশিল্ড’ ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল, করোনাভাইরাসের আলফা, বিটা ও ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে তাঁদের অনাক্রম্যতা বেশি ধরা পড়েছে। অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়াও বেশি মিলেছে।
আইসিএমআর’র গবেষণার প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সমীর ভাটিয়া বলেছেন, ‘দুটি টিকাই একই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে। দুটি টিকা মিলিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জনসাধারণের জন্য কার্যকরী হতে পারে এবং টিকা নিয়ে দ্বিধাবোধ কাটাতে সাহায্য করতে পারে। বাড়াতে পারে টিকাকরণের গতি।’ তবে, আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।