চীনে ‘নির্যাতনে এলাকাছাড়াদের ঘর’ পর্যটকদের ভাড়া দিচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ট্যুরিস্ট কমিউনিটি মার্কেটপ্লেস এয়ারবিএনবি চীন নিয়ন্ত্রিত তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ে প্রায় ৭০০টি আবাসন নিজেদের মার্কেটপ্লেসে অন্তর্ভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ উঠেছে, তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ে চীনের নিপীড়নে স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছেন। জিনজিয়াংয়ের অনেক মুসলিমকে রাখা হয়েছে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। তাদের ফেলে যাওয়া ঘরগুলোই ভাড়া দেওয়া হয়েছে এয়ারবিএনবিকে। মার্কিন ওই কোম্পানিটি সেখানে ঘুরতে যাওয়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সে ঘরগুলো ভাড়া দিচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ে চীনের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ তুলে বরাবরই সরব অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে জিনজিয়াংয়ে মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর চালানো গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে পশ্চিমা দেশ ও তাদের জোট এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো চীনের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। কিন্তু, সেখানে ওই নির্যাতনে এলাকাছাড়াদের ঘর-বাড়ি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি।
এএনআই আরও জানিয়েছে, চীনে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অলিম্পিকের বড় স্পন্সর ছিল এয়ারবিএনবি। যার পরিমাণ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, কোম্পানিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে—তারা আগে থেকেই চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। ২০২৮ সালের আগে সেই চুক্তি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে, উইঘুর ভাষা-আন্দোলন কর্মী আব্দুওয়ালি আইয়ুপ বলেন, ‘মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের যে ৭০০টি আবাসন নিজেদের কোম্পানিতে নিবন্ধন করেছে, তাদের কি ভাবা উচিত নয় যে, ওই বাসিন্দারা কোথায়? কেন ও কোন পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে বা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে?’
বিশ্বের ১৯২টি দেশের ৩০ হাজার শহরের প্রায় দুই লাখ বাড়ি এয়ারবিএনবিতে নিবন্ধন করা। কেউ তার পুরো বাসা বা একটি রুম ভাড়া দিতে চাইলে কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেন। যার প্রয়োজন, সেখান থেকে ঘর বা পুরো অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া নিয়ে থাকেন।