পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক ছিল। ‘মিলিটারি টু মিলিটারি’ এই সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।
শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পর পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছ থেকে এ মন্তব্য এলো। খবর দ্য ডনের।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কিরবি বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের যৌথ স্বার্থ জড়িত।
‘আমরা জানি, ওই অঞ্চলে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা এটাও জানি, পাকিস্তান ও পাকিস্তানের জনগণ তাঁদের নিজের দেশেই সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে,’ বলেন কিরবি।
অনাস্থা ভোটে ইমরান খান সরকারের পতন হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানে ক্ষমতার এই পালাবদলের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। খোদ ইমরান খানই তাঁকে অপসারণের ষড়যন্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন। এরপরই ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কিরবি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমরা মন্তব্য করব না।’