যুক্তরাষ্ট্রে দুর্গন্ধযুক্ত স্প্রে ব্যবহারে বন্ধ স্কুল, হাসপাতালে ৬ শিক্ষার্থী
মজা করে নিজের স্কুলে দুর্গন্ধযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করেছিল এক শিক্ষার্থী। তবে, দুর্গন্ধের জেরে স্কুলে থাকতে পারছিল না শিক্ষার্থীরা। অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে। অবশেষে বন্ধ করতে হয় স্কুল। এমনকি ছয় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্যানি ক্রিক হাইস্কুলের। আজ সোমবার (৮ মে) এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, গত শুক্রবার টেক্সাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের এক শিক্ষার্থী দুর্গন্ধযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করায় ছয় ছাত্র-ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ক্যানি ক্রিক ফায়ার সার্ভিস লেখে, ‘প্রাঙ্ক (অন্যকে বোকা বানানো) করে ওই শিক্ষার্থী দুর্গন্ধযুক্ত স্প্রের ব্যবহার করে। বিষয়টি স্বীকারও করেছে সে।’
স্কুলে গ্যাসের মতো দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এমন খবরে ক্যানি ক্রিক ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে যায়। তিনদিন ধরে অনুসন্ধান চালানো হয়। পরে, বিষয়টি তারা বুঝতে পারে এবং ওই শিক্ষার্থী নিজের দোষ স্বীকার করে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘ক্যানি ক্রিক হাই স্কুলের স্টাফ এবং কনরো আইএসডি পুলিশের কঠোর পরিশ্রমের কারণে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। স্কুলটির একজন ছাত্র প্রাঙ্ক করে ‘হেনসগাউক্ট ফার্ট’ স্প্রে নামে একটি অত্যন্ত ঘনীভূত গ্যাস ছড়িয়েছিল। ক্যানি ক্রিক ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সমস্ত শিক্ষার্থী ও স্টাফকে সুরক্ষা দিতে পেরে গর্বিত।’
মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, গত সপ্তাহের বুধবার গ্যাসের গন্ধ পায় স্কুলটির শিক্ষার্থী ও স্টাফরা। দ্রুত সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে, খবর দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল স্কুলে এসে পরিদর্শন করে ও গ্যাস লিকেজ অনুসন্ধান করে। তবে, গ্যাস লিকেজের কিছু পায়নি তারা।
পরের দিন দুর্গন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শ্রেণি কক্ষে ফেরত নেওয়া হয়। তবে, সেদিনেই ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে ও ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ফের স্কুল বন্ধ করা হয়। গত শুক্রবার একজন ছাত্র দুর্গন্ধযুক্ত স্প্রে দেওয়ার কথা স্বীকারও করে।