হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মবার্ষিকী আজ। এর একদিন আগে গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হলো তাঁর নামাঙ্কিত সাহিত্য পুরস্কার ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’।
এবার সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। নবীন সাহিত্যশ্রেণিতে ‘নিঃসঙ্গ নক্ষত্র’ উপন্যাসের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন সাদাত হোসাইন। পুরস্কার প্রদান মঞ্চটি এদিন হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে নানা কথামালায় ভরে ওঠে।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহত্যিবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রবীণ ও নবীন দুজন কথাসাহিত্যিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করেন এই পুরস্কারের জন্য গঠিত বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপশি কথা বলেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও লেখকের ছোট ভাই শিক্ষাবিদ-লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সমাজে আমরা অবক্ষয় দেখি। আর এসব অবক্ষয় দূর করতে পারে সৃজনশীল নানা কর্ম। হুমায়ূন আহমেদের নামাঙ্কিত এ পুরস্কার এই অঙ্গনের মানুষদের অনুপ্রেরণা দেবে।’
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ শুধু অসংখ্য পাঠক তৈরি করেননি, পাশপাশি তাঁর লেখা অনুপ্রাণিত করেছে অসংখ্য লেখককে। তাঁর নামাঙ্কিত এ পুরস্কার তরুণ লেখকদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করি।’
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব। তিনি সত্যিই কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। তিনি যা ভালো মনে করতেন তা-ই করতেন। সারা দেশে যখন রাজাকারদের কথা উচ্চারণ করা অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ ছিল, তিনি তখন টিয়া পাখির মুখ দিয়ে ‘তুই রাজাকার’ উচ্চারণ করিয়েছিলেন।”