‘অষ্টক-তত্ত্বে’র মোড়ক উন্মোচন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রাহুল বিশ্বাসের লেখা 'অষ্টক-তত্ত্ব' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আটটি সমস্যার পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনাভিত্তিক ছোট গ্রন্থ অষ্টক-তত্ত্বের মোড়ক উন্মোচন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফায়েক উজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস, প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহানসহ আরো অনেকে।
বইটিতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস নির্মূলকরণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি, রাজনীতি, শান্তি প্রতিষ্ঠা, স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গঠন, গ্রামীণ সাম্যবস্থা, সংস্কৃতি ও মিডিয়া—এ আটটি বিষয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও এর গঠনমূলক ও কার্যকরী সমাধানের উপায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন দেশের স্বনামধন্য লেখক কথাশিল্পী নামে পরিচিত হাসান আজিজুল হক, দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী কামাল লোহানী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. ফায়েক উজ্জামান।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘লেখক রাহুল বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে, বহু তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করে, বাংলাদেশে বিরাজমান ব্যবস্থাগুলো এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় যেসব অসংগতি ও সংকট তৈরি হচ্ছে বা হয়েছে, তার একটি চিত্র রূপায়ণের চেষ্টা করেছেন। তারা দেশপ্রেমের প্রবল উন্মাদনাময় স্বপ্নে বিভোর হয়ে ব্যবস্থাপনা সংকট নিরসনের উপায় বাতলে দিয়েছেন আটটি তত্ত্বমালার সাহায্যে। যেহেতু এই আটটি বিভাগের অগ্রগতিই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, তাই দেশের মৌলিক স্তম্ভগুলোর ওপর লেখকের স্বাধীন এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাগুলো পাঠক এবং দেশের নীতিনির্ধারকদের ভাবনাকে প্রভাবিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। একজন তরুণের এই অনন্য দেশভাবনা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ার প্রয়াসে সহায়ক ও নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে—এই দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করি।’
হাসান আজিজুল হক মন্তব্যে লিখেছেন, ‘রাহুল বিশ্বাস অষ্টক-তত্ত্ব নাম দিয়ে যে ছোট্ট বইটি লিখেছেন, তার উদ্দেশ্য মহৎ। মুক্তদৃষ্টিতে বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতাকে দেখতে চেয়েছেন তিনি, শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন তার রোগ-যন্ত্রণা, আধিব্যাধির লক্ষণগুলো এবং একজন চিকিৎসকের সততায় সেসব নিরাময়ের জন্য ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।’
কামাল লোহানী লিখেছেন, ‘অষ্টক-তত্ত্ব গ্রন্থে লেখক যে সম্পদ ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন, এ আমাদের গর্ব। একে রক্ষা করতে তিনি তাঁর লেখায় করণীয় ও নির্দেশ করেছেন। গ্রন্থটি পাঠে সচেতন মানুষকে আকৃষ্ট করবে এবং ভাবতে বাধ্য করবে এ বিশ্বাস আমার জেগেছে।’
বইটি রচনায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সৈকত মণ্ডল, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. নুরুজ্জামানসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।