ওবায়েদ আকাশের তিনটি কবিতা
স্পর্ধা
এবার উড়তে শিখেছ। উচ্ছ্বসিত পারাবত
ঘরের ঐশ্বর্য নিয়ে উড়ে যায়
প্রতিদিন স্পর্ধিত হই। তার প্রচ্ছন্ন লিপ্সায়
একবার ঢুকে পড়ি- মাধুকরী...
সারারাত মুখরিত ঘুম; হৃৎপিণ্ডে নিমগ্ন পাখি
ডানার বৃত্তান্ত জানে, ওড়ার নিভৃত ভাষা
তুলে নেয় পালকের ওমে। মেঘের বিভ্রান্ত স্রোতে
মিশে যায় গোপন বৃক্ষের ভূমি
ব্যাপক প্লাবনে ভেসে
মেঘের গড়ান ধরে পড়ে আছে আহত সৈকত
স্রোতের মর্মর ভেঙে নাবিকেরা জাগছে এবার
এমন সৈকতজুড়ে কোন পাখি স্নানে মেতে থাকে?
ঘরেফেরা পাখিদের স্নেহে- ভরে আছে কূজনসন্ধ্যা
তাকে আমি বৃষ্টি বলি
ওখানে ভাঙছে, সুবর্ণ পরিখা- তাকে যে বেষ্টন করে
ফলের উপমা হয়ে- উড়ে এসে বসেছ শস্যের শোভা
মেঘের ফলনে যদি বহুদূরে বৃষ্টি নামে এই-
এমন নিপুণ জলে কাকে দেখো- ভেসে চলে যায়
এভাবে ভেসেছে, দলিত মেঘেরা- ভেবেছে প্রখর চাঁদে
দুটি কথা বলা যদি হয়, অগোচরে ফিরে দেখা
চতুর পালক- তোমার জন্মের মাসে
এই ঝড়ে ঝরে গেল যদি
দুটি কথা কিছু নয়- তাকে আমি বৃষ্টি বলি
রাজহাঁস
যদি নেমে যাই, এই ভূদৃশ্য আড়াল করে
স্বাধীনতা রাজহাঁস... পালকে মোড়ানো ক্ষত
কে তারে শীতল করে আগুন শস্যের দানা
ঠোঁটে করে হয়ে যাবে গুম! ভেসে যাবে-
সেই রোদে মুখোমুখি, প্রজাপতি অবাধ ডানায়
যদি ঘষে নেয় সকালের শ্বেতাভ নরম
এলোমেলো রাজহাঁস আড়াল দৃশ্যের ক্ষত
খুলে ফেলে জলে
তবে ডুবে যাই- সতেজ বুদ্বুদ ভেঙে
ব্যাপক সূর্যের দেশে রাজহাঁস- ছায়া ভাঙে যদি