কবি বিমল গুহর জন্মবার্ষিকী উদযাপন
অজস্র মোহরের মতো রাশি রাশি শব্দ নিয়ে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন সত্তরের দশকে। সেই লেখালেখি আজও সজীব আছে। বলছি কবি বিমল গুহের কথা। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের কাব্যযাত্রায় তাঁর ভক্তপাঠক যেমন রয়েছে, রয়েছে সাহিত্য অনুরাগী বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী। তাঁরাই গত ২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলানায়তনে আয়োজন করে কবি বিমল গুহর ৬৫তম জন্মবর্ষ জয়ন্তীর।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি কবি বিমল গুহকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লেখক হায়াৎ মামুদ ও কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে কবি বিমল গুহর বন্ধু শ্যামল কান্তি দাশ বলেন, ‘বিমল আমার সময়ের কবি। আমি তার থেকে সামান্য একটু বড়। উত্তাল দশককে আমরা দুজনেই ঘনিষ্ঠভাবে প্রত্যক্ষ করেছি । বিমল স্বাধীনতা দেখেছে, দেশ ভাগ দেখেছে দেখেছে হত্যা, রক্তপাত, অপচয় দেখেছে, দেখেছে একটি দেশের জেগে ওঠা, নতুন সূর্যোদয়। তাই তার কবিতার পঙক্তিতে পঙক্তিতে নতুন উপলব্ধি আর আত্মবিশ্বাস। নতুন প্রত্যয় এবং প্রত্যাশা। বিমলের প্রতিটি কবিতাতেই সঞ্চারিত হয়েছে আশাবাদের সুর।’
কবি বিমল গুহ ২৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার বাজালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব-কৈশোর কেটেছে গ্রামে। বাজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি ও ১৯৭০ সালে সাতকানিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ বিএসসি অনার্সে। পরে তিনি গণিত বিভাগ ছেড়ে ভর্তি হন বাংলা বিভাগে। বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৭৬ সালে বিএ অনার্স ও ১৯৭৭ সালে এমএ পাস করেন। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৯৭ সালে সাহিত্যে পিএসডি অর্জন করেন।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।