একুশে বইমেলায় স্টল বণ্টন নিয়ে প্রতিবাদ
২০১৮ সালের আসন্ন একুশে গ্রন্থমেলায় স্টলের অসম বণ্টননীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বেহুলাবাংলাসহ আরো দুটি প্রকাশনী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেহুলাবাংলার স্বত্বাধিকারী চন্দন চৌধুরী, কবি গিরীশ গৈরিক, কবি মাহবুব মিত্র ও কবি ও নাট্যকার মাহফুজ রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘গত দুই বছর বইমেলায় প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে অংশও নিয়েছে বেহুলাবাংলা। প্রকাশ করেছে দুই শতাধিক বই। সারা বছর বই প্রকাশের পাশাপাশি শুধু ২০১৭ মেলায়ই ৮৩টি নতুন বই প্রকাশ করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব ঘটনা নিয়ে ৭১টি উপন্যাস প্রকাশের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে বেহুলাবাংলা প্রকাশনী। সেই প্রকাশনার উদ্বোধন করেছিলেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। এত সংখ্যক বই প্রকাশের পরও এক ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০১৭ মেলায়। ফলে স্টলে বই সাজিয়ে রাখাটাই ছিল অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’
বেহুলাবাংলা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী চন্দন চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনটি স্টলের জন্য আবেদন করেও মাত্র একটি স্টল পাওয়া গেছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আমাদের কমপক্ষে দুটি স্টল প্রয়োজন। আপনারা দেখবেন, আমাদের চেয়ে অনেক কম বই প্রকাশ করেও অনেকে একাধিক স্টল পেয়েছে। আমরা চাই, ১১ জানুয়ারির মধ্যে মেলার এই স্টল বণ্টন পুনর্বিবেচনা করা হোক। আর তা না হলে আমরা ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করব।’
বেহুলাবাংলার পক্ষে কবি গিরীশ গৈরিক বলেন, ‘আগামীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বেহুলাবাংলা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ উপন্যাস প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে এই কাজ শুরু হয়েছে, যা ২০২০ সালে সম্পন্ন হবে। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ করেছিল ৭১টি উপন্যাস।’
মেঘ প্রকাশনী ও টাপুরটুপুর প্রকাশনী স্টল পাওয়ার সব শর্ত পূরণ করলেও তাদের স্টল দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হয় এবারের মেলায় বরাদ্দ দেওয়া ২৫টি প্যাভিলিয়নকে। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ১১টি। এ বিষয়ে বেহুলাবাংলার পক্ষে কবি মাহবুব মিত্র বলেন, ‘অবাক ব্যাপার হলো, তারুণ্যনির্ভর প্রকাশনাগুলো যেখানে ঠিকভাবে স্টলের ইউনিট পাচ্ছে না, সেখানে মেলায় এবার প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১টি থেকে বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। তাহলে কি আমরা বলব, বইমেলা বুর্জোয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে! যদি নতুন স্টল বাড়ানোর জায়গা না থাকে কীভাবে ২৫টি প্যাভিলিয়ন করা হয়!’