সিলভী রহমানের দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
প্রবাসী কবি ও লেখক সিলভী রহমানের প্রথম উপন্যাস ‘তুমি রবে নীরবে’ ও কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার কাছে ফেরা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চলচ্চিত্র মিলনায়তনে গ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি, স্থপতি ও শিল্প-সমালোচক রবিউল হুসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক কাজী মদিনা। স্বাগত বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বাবেল বাশার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শামীমা মান্নান।
অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “সিলভী রহমানের উপন্যাস ‘তুমি রবে নীরবে’ ও কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার কাছে ফেরা’ গ্রন্থ দুটি সময়োপযোগী। উপন্যাসে লেখক যে প্রেমের ঘটনা উল্লেখ করেছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিজীবনসম্পৃক্ত। তাঁর উপন্যাসে মানুষের জীবনে না-বলা প্রেমের যে বেদনা, তা উঠে এসেছে নিপুণভাবে। এমন মানুষ নেই, যার জীবনে এ রকম ঘটনা আসেনি। একজন লেখক তখনই সার্থক হন, যখন তিনি মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি তাঁর লেখনীতে তুলে আনতে পারেন। সিলভী রহমান সেটি পেরেছেন।” তিনি আরো বলেন, ‘সিলভী রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থেও উঠে এসেছে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসার কথা। লেখকের সেই প্রেম একেবারেই দেশের সঙ্গে, প্রকৃতির সঙ্গে ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে।’
কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন বলেন, ‘সিলভী রহমান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও তাঁর মন পড়ে থাকে দেশে। উপন্যাসে তিনি তাঁর কিশোর জীবনের অব্যক্ত প্রেমের যে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন, তা প্রত্যেক পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে। পূর্ণাঙ্গ সাহিত্য বলতে যা বোঝায়, সিলভী রহমানের গ্রন্থ দুটিতে তার সব উপাদান রয়েছে।’
বই দুটি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন সাহিত্যিক কাজী মদিনা। তিনি বলেন, ‘গ্রন্থ দুটি পাঠ করলে কেউ অনুধাবন করতে পারবেন না যে এগুলো একজন নবীন লেখকের বই। সিলভী রহমান সহজ, সরল ও বোধগম্য করে দুটি গ্রন্থই রচনা করেছেন, যা সব ধরনের পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে।’
সিলভী রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কবিতা চর্চা করছি। প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত অনুভব করি। আমার কবিতায় মূলত দেশপ্রেম এবং মানবপ্রেমই গুরুত্ব পেয়েছে। আর আমার প্রথম প্রেম ও ভালোলাগার গল্প বিস্তৃত হয়েছে ‘তুমি রবে নীরবে’ উপন্যাসজুড়ে। আশা করি, পাঠকদের ভালো লাগবে।”
বই দুটি পাওয়া যাবে বইমেলায় জনান্তিকের ৪৬০-৪৬১ নম্বর স্টলে।