‘বিশ্বের সব ভাষাকেই আমাদের সম্মান জানাতে হবে’
‘ভাষাগত বাধার কারণে আমাদের সাহিত্য এবং লেখকদের আমরা তুলে ধরতে পারছি না। নিজের ভাষা তো বটেই, বিশ্বের সব ভাষাকেই আমাদের সম্মান জানাতে হবে। অনুবাদ করে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’ গত শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘গল্পকার’ প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
তিনি আরো বলেন, “আমরা যখন পড়াশোনা করেছি, তখন পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের মধ্যে যেসব গুণ রয়েছে, তার চর্চার ক্ষেত্র ছিল। এখন তো জিপিএ ৫-এর যুগ। এই সময়ে ‘গল্পকার’-এর মতো একটি পত্রিকা বের হচ্ছে, এটা খুব আশাপ্রদ ঘটনা।”
চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আনন্দ সম্মিলন ও নিজেদের প্রকাশিত তিনটি বইয়ের মূল্যায়ন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে গল্পকার। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কথাশিল্পী ফারুক মঈনুদ্দীন, কথাশিল্পী সালেহা চৌধুরী, কবি শামীম রেজা ও এশিয়ান এজের নির্বাহী সম্পাদক মহসীন হাবিব। তা ছাড়া গ্রন্থগুলো নিয়ে আলোচনা করেন কবি আসাদ চৌধুরী, কবি মিনার মনসুর ও কবি গৌরাঙ্গ মোহান্ত। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গল্পকার-এর সম্পাদক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি শিহাব শাহরিয়ার। সমন্বয়ে ছিলেন কবি আনিস মুহম্মদ।
গল্পকার প্রকাশিত বই তিনটি হচ্ছে ড. আবদুন নূর রচিত ‘তব নাম’, হাইকেল হাশমী অনূদিত ‘বাংলাদেশের উর্দু ছোটগল্প’ ও সুরাইয়া ফারজানা হাসান অনূদিত ‘কমনওয়েলথ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছোটগল্প’।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বাস করে যাঁরা উর্দু সাহিত্য চর্চা করছেন, তাঁদের কাউকেই বাংলাদেশের পাঠকরা চেনেন না। হাইকেল হাশমী সেই গল্পকারদের বাঙালি পাঠকদের সামনে তুলে ধরেছেন।
মিনার মনসুর বলেন, ‘তব নাম’ আল্লাহর নামের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রকাশিত হলেও এটি নিছক ধর্মীয় কোনো গ্রন্থ নয়। এটি সাহিত্য। বইটি সব ধর্মের মানুষের পাঠ করা উচিত।
গৌরাঙ্গ মোহান্ত বলেন, অনুবাদ হচ্ছে মূল ভাষার সাংস্কৃতিক প্রকাশ। ফারজানা অনুবাদের সময় মূল গল্পের প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং তা সুখপাঠ্য হয়েছে।