নেদারল্যান্ডস ও ইতালিতে লায়লা শারমিনের শিল্পকর্ম
বাংলাদেশি শিল্পী লায়লা শারমিনের শিল্পকর্মের প্রদর্শনী হয়েছে আমস্টারডামের ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেয়ার এবং ইতালির উৎসব ‘বিয়্যানিয়াল অব চিয়ানচিয়ানো’তে। শিল্পীর সাম্প্রতিক সিরিজ কাজ ‘দত্ত দয়াধ্বম দম্যত : শান্তি শান্তি শান্তি’-এর প্রদর্শনী হয়েছে আমস্টারডামের এই উৎসবে।
প্রাচীন দর্শন ‘বৃহদারণ্যক উপনিষদ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই সিরিজ কাজ করেছেন লায়লা শারমিন। প্রতিটি মানুষ অবশ্যই তিনটি দায়িত্ব পালন করবে তা হলো- দান (দত্ত), দয়াধ্বম (সহানুভূতি) এবং দম্যত (নিয়ন্ত্রণ)। যেকোনো সামাজিক সমস্যা, যেগুলো ব্যাধির মতো সমাজে গেঁড়ে বসেছে- তার সমাধান মিলবে এই মন্ত্রে, এমনটাই মনে করেন এই শিল্পী।
গত মাসের শেষ দিকে আমস্টারডাম শহরের বিখ্যাত স্থাপত্য ব্যুয়ের ভ্যান বার্লেজে বসেছিল এই আসর। বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি শিল্পী তাঁদের কনটেমপোরারি শিল্পকর্ম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন উৎসবে। এখানে প্রদর্শনীর পর ইতালির ঐতিহাসিক তুসানি শহরে নয়দিনব্যাপী উৎসব ‘বিঅ্যানিয়াল অব চিয়ানচিয়ানো’-তে প্রদর্শন করা হয় লায়লার কাজ। নবজাগরণ বা রেনেসাঁর জন্মস্থান হিসেবে তুসানি বিখ্যাত। উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং উপস্থাপনায় ছিল চিয়ানচিয়ানো আর্ট মিউজিয়াম। এই আসরে ৪০টি দেশ থেকে মোট ১২০ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।
লায়লা শারমিন এখনো পর্যন্ত ১১টি একক প্রদর্শনী করেছেন এবং ৬০টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। বিখ্যাত কিছু শিল্পকর্ম উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তাঁর কাজ। এর মধ্যে রয়েছে টোকিও ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেয়ার, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেয়ার, বার্সেলোনা আর্ট ফেয়ার, আর্ট শপিং (ক্যারুসল দু লুভ, প্যারিস), আর্ট এক্সপো নিউ ইয়র্ক, ইজমির বিয়্যানিয়াল (তুরস্ক) এবং এফেত্তো বিয়্যানিয়াল (মেক্সিকো)। ২০১১ সালের ১৬তম স্পেস ইন্টারন্যাশনাল বিয়্যানিয়ালে তিনি পারচেজ প্রাইজে পুরস্কৃত হন। ইজমিরের আতাতুর্ক মিউজিয়াম, বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে তাঁর চিত্রকর্ম। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে তাঁর চিত্রকর্ম।