সলিমুল্লাহ খানের প্রবন্ধ
মা, মাতৃভূমি ও স্বাধীনতা ব্যবসায়
মাতৃভূমির কথা বলিতে গিয়া অনেকেই মায়ের কথা পাড়িয়া থাকেন। ভূদেব মুখোপাধ্যায় বা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হইতে জওয়াহরলাল নেহরু পর্যন্ত ভারতীয় ধুরন্ধরদের মধ্যে প্রায় সকলেই মাতৃভূমির রূপক বলিয়া মায়ের নাম লইয়াছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে ইহার কিছু ইতরবিশেষ দেখা যায়। তিনি ঈশ্বরের সহিত মায়ের তুলনা করিয়াছেন।
শান্তিনিকেতন আশ্রমে ঠাকুরের দেওয়া একপ্রস্ত বক্তৃতার নাম ‘অভাব’। তারিখের স্থানে দেখিতেছি ২৩ অগ্রহায়ণ ১৩১৫ (মোতাবেক ইংরেজি সাল ১৯০৮) লেখা। তিনি বলিতেছেন, ‘ঈশ্বরকে যে আমরা দিন রাত্রি বাদ দিয়ে চলছি তাতে আমাদের সাংসারিক ক্ষতি যদি সিকি পয়সাও হত তা হলে আমরা তখনই সতর্ক হয়ে উঠতুম। কিন্তু সে বিপদ নেই; সূর্য আলো দিচ্ছে, পৃথিবী আমাদের অন্ন দিচ্ছে, বৃহৎ লোকালয় তার সহস্র নাড়ী দিয়ে আমাদের সহস্র অভাব পূরণ করে চলেছে। তবে সংসারকে ঈশ্বরবর্জিত করে আমাদের কি অভাব হচ্ছে! হায়, যে অভাব হচ্ছে তা যতক্ষণ না জানতে পারি ততক্ষণ আরামে নিঃসংশয়ে থাকি এবং সচ্ছল সংসারের মধ্যে বাস করে মনে করি, আমরা ঈশ্বরের বিশেষ অনুগৃহীত ব্যক্তি।’
‘কিন্তু’, ঠাকুরের জিজ্ঞাসা, ‘ক্ষতিটা কী হয় তা কেমন করে বোঝানো যেতে পারে?’ এইখানে তিনি দৃষ্টান্ত আকারে তাঁহার নিজের একপ্রস্ত স্বপ্নের কথা বলিলেন। আমার আগ্রহের এক বিষয় এই স্বপ্নের মধ্যে পাইতেছি।
ঠাকুর বলিতেছেন, ‘আমি নিতান্ত বালককালে মাতৃহীন। আমার বড়ো বয়সের জীবনে মায়ের অধিষ্ঠান ছিল না। কাল রাতে স্বপ্ন দেখলুম, আমি যেন বাল্যকালেই রয়ে গেছি। গঙ্গার ধারের বাগানবাড়িতে মা একটি ঘরে বসে রয়েছেন। মা আছেন তো আছেন, তাঁর আবির্ভাব তো সকল সময়ে চেতনাকে অধিকার করে থাকে না। আমিও মাতার প্রতি মন না দিয়ে তাঁর ঘরের পাশ দিয়ে চলে গেলুম। বারান্দায় গিয়ে আমার হঠাৎ কী হলো জানি নে আমার মনে এই কথাটা জেগে উঠল যে মা আছেন! তখনই তাঁর ঘরে গিয়ে তাঁর পায়ের ধুলো নিয়ে তাঁকে প্রণাম করলুম। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে বললেন, তুমি এসেছ!’
‘এইখানেই,’ ঠাকুর জানাইলেন, ‘স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।’ শুধু তাহাই নহে, সঙ্গে মন্তব্যও একটা জুড়িয়া দিলেন তিনি। বলিলেন, ‘আমি ভাবতে লাগলুম মায়ের বাড়িতেই বাস করছি, তাঁর ঘরের দুয়ার দিয়েই দশবার করে আনাগোনা করি, তিনি আছেন এটা জানি সন্দেহ নেই, কিন্তু যেন নেই এমনি ভাবেই সংসার চলছে। তাতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে! তাঁর ভাঁড়ারের দ্বার তিনি বন্ধ করেননি, তাঁর অন্ন তিনি পরিবেশন করছেন, যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনও তাঁর পাখা আমাকে বীজন করছে। কেবল ওইটুকু হচ্ছে না, তিনি আমার হাতটি ধরে বললেন না ‘তুমি এসেছ’! অন্নজল ধনজন সমস্তই আছে, কিন্তু সেই স্বরটি সেই স্পর্শটি কোথায়! মন যখন সম্পূর্ণ জেগে উঠে সেইটিকেই চায় এবং চেয়ে যখন না পায়, কেবল উপকরণভরা ঘরে ঘরে খুঁজে বেড়ায়, তখন অন্নজল তার আর কিছুতেই রোচে না।’ (ঠাকুর ১৪১৭: ৪-৫)
১
দেশকে মা বলার মতো মাকে দেশ বলাও আমাদের দেশে সহজ কাজ। তবে ঈশ্বরকে মা বলা আর মাকে ঈশ্বরতুল্য গণ্য করা তত সহজ কাজ নহে। তাই ঠাকুরের হিম্মত আছে বলিতে হয়। এ জায়গায় উর্দু ভাষার বড় লেখক সাদাত হাসান মান্টোর (১৯১২-১৯৫৫) সাহস আরো বেশি। বহু গল্পে তিনি দেশকে তথাকথিত পতিতা বা গণিকার সহিত তুলিত করিয়াছেন। আর কোনো কোনো গল্পে গণিকাকেও তিনি মা বলিয়া ডাকিয়াছেন। দেশ আর মায়ের মধ্যস্থলে গণিকার আসন বসাইয়া মান্টো দেখিতেছি মহা-কেলেঙ্কারি বাধাইয়া ফেলিয়াছেন। সম্প্রতি আমির মুফতি এই বিষয়ে একটা প্রস্তাব প্রকাশ করিয়াছেন। আমি তাঁহার লেখার বহুল প্রচার কামনা করি। (মুফতি ২০০৭)
মুফতি মহাশয় দেখাইয়াছেন মান্টোর নায়িকাদের অনেকেই তথাকথিত গণিকা বা গণবধূ, গৃহবধূ নহেন। আমরা মা বলিতে নগদ গৃহবধূ বা কুলবধূ বুঝিয়া থাকি। গণবধূর মা হইতে তো প্রকৃতির কোনো বাধা নাই। মায়ের সহিত সন্তানের সম্বন্ধে কী তাহাতে কোনো পরিবর্তন ঘটে!
সাদাত হাসান মান্টোর একটা গল্পের নাম ‘কালো সালোয়ার’। মুফতির অনুমান এই গল্পের রচনাকাল ইংরেজি ১৯৪০ সাল। (মুফতি ২০০৭: ১৯০) গল্পের নায়িকার নাম সুলতানা। তিনি হালে পাঞ্জাবের আম্বালা নামক সেনানিবাস-শহর হইতে বাস উঠাইয়া রাজধানী শহর দিল্লিতে আস্তানা গাড়িয়াছেন। আম্বালায় তাহার ব্যবসায় ভাল জমিয়াছিল। খরিদ্দারদের মধ্যে ইংরেজ সিপাহিরাই ছিলেন প্রধান। সুলতানা অবশ্য ইংরেজি ভাষাটি ভালোমতো রপ্ত করিতে পারেন নাই। তবে দুই চারিটা ইংরেজি লবজ এস্তেমাল করিতে তাহার কোনো অসুবিধা হইত না। তিনি মাঝে মাঝে সিপাহিদের কষিয়া গালও পাড়িতেন। কিন্তু তাহার মুখের আদুরে ভাবটি আর চোখের আয় আয় চাহনি দেখিতে দেখিতে গোরা সৈন্যরা ভাবিতেন সুলতানা বিবি রসের হাড়ি, বুঝি বিশ্রাম্ভালাপই করিতেছেন। সন্দেহ কি, ভাষা দারুণ জিনিশ!
রাজধানী দিল্লি নগরে আসিয়া সুলতানা ঠাহর করিলেন তাহার ব্যবসায় আগের জায়গাটার মতন জমিতেছে না। একপ্রকার মন্দাই দেখা দিয়াছে। আগে কয়েক ঘণ্টায় কুড়ি টাকা আয় হইত। দিল্লিতে আসিয়া গোটা তিন মাসেও তাহার আয়-উপার্জন সেই পরিমাণ হয় নাই। শেষ সম্বল গায়ের সামান্য অলঙ্কারপাতি, হাতের পাঁচ গায়ের গহনাটুকু বিক্রয় করিয়া তাহার দিন যাইতেছে। নতুন জাতীয় রাষ্ট্রের ফাঁড়াও হয়তো এই রকমই। ইংরেজ চলিয়া গেলে তো চাহিদার সংকট দেখা দিতেই পারে। তাহা ছাড়া নতুন দেশের নতুন রাজধানীতে নতুন খরিদ্দার সমধিক আসিয়া সারে নাই।
সুলতানা দিল্লি আসিয়াছেন নিজের গরজে নহে, আসিয়াছেন নিতান্ত ঠেলায় পড়িয়া। আসিয়াছেন খোদা বকশের উপদেশমাফিক। খোদা বকশ সুলতানার প্রেমিক। আবার খরিদ্দার যোগাইবার কাজটাও করিয়া থাকেন তিনি। মান্টো আমাদের জানাইয়াছেন দিল্লি শহরে চলিয়া আসিবার খায়েশটি খোদা বকশের মনেই পহিলা মাথাচাড়া দিয়া উঠিয়াছিল। কারণটা অস্পষ্ট বা দুর্বোধ্য।
সুলতানার সহিত খোদা বকশের পরিচয় আম্বালার জমানায়। তাহার সহিত পরিচয়ের পর ব্যবসায়ে সুবাতাস বহিতে শুরু করিল বলিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন সুলতানা খোদা বকশকে সৌভাগ্যের নিশান ধরিয়া লইয়াছিলেন। তাহার নামের মধ্যেও সেই সৌভাগ্যের নিদর্শন। খোদার দান তিনি। এই ভদ্রলোক একদা ছিলেন লরিচালক। এক্ষণে তিনি রেল-স্টেশনের কাছে ফুটপাতে একটা ফটোর দোকান খুলিয়াছেন। খোদা বকশ এদিকে আউলিয়া কুলের হজরত নিজামুদ্দিনের ভক্ত, আর ঐদিকে ইংরেজ সৈন্যদের ছবি তুলিয়া জীবিকা নির্বাহ করিয়া থাকেন। প্রভু জাতির সভ্য-সৈন্যের চেহারা-সুরতের প্রচারাদি কর্ম করিতে পারিলেই তাহার রোটিরুজির ব্যবস্থা হয়।
২
প্রথম প্রথম সুলতানা নিজের নতুন আবাসটাও চিনিতে পারিতেন না দিল্লিতে। সব বাড়িই দেখিতে একরকম দেখাইত। পরে বাড়ির নিচের তলাকার লন্ড্রির দোকান বা ধোপাখানাটা দেখিয়াই তিনি নিজের ঠিকানা ঠাহর করিয়া রাখিতেন। একই নিয়মে একদিন নবনির্মিত পাড়ার নতুন বাসার নবীন টয়লেটের শিকল টানিয়া অর্থাৎ নব্য পয়ঃপ্রণালির দেখা পাইয়া সুলতানা বেশ ভয়ই পাইয়াছিলেন। অথচ খোদা বকশ এয়ুরোপ হইতে আগত আধুনিক ব্যবসায় হাতমক্শো করিয়া, ইংরেজ সৈন্যদের ফটোয়াদি তুলিয়া সংসারযাত্রা করিতেছেন। ভাগ্যের কি পরিহাস!
দিল্লিতে ব্যবসায় তেমন জমে নাই দেখিয়া সুলতানা আবার আম্বালায় ফিরিয়া যাইতে চাহিলেন কিন্তু খোদা বকশ কিছুতেই রাজি হলেন না এ প্রস্তাবে। দিল্লির পুরানা কিল্লার আশপাশে দরগায় মাজারে পীর-ফকিরের দরজায় ধর্ণা দিতে লাগিলেন তিনি। আল্লাহর কাছে বার বার তোফা খরিদ্দার মাঙ্গিয়া আরজি পেশ করিলেন। তিনি বলিতে থাকিলেন, আশা ছাড়িব না, অবস্থার পরিবর্তন একদিন না একদিন হইবেই।
পরিবর্তন হইলও একদিন। তবে একটু অন্যরকম সে পরিবর্তন। ঝুল বারান্দায় দাঁড়াইয়া থাকেন সুলতানা। খরিদ্দার আসিবে এই আশায় অপেক্ষায় থাকেন। অপেক্ষায় হয়তো আনন্দ আছে, তাই বলিয়া কি উপেক্ষাতেও! অদূরে রেলপথের দিকে চাহিয়া থাকেন সুলতানা। একদিন গোধুলিমাখা সন্ধ্যায় রেললাইন দেখিতে দেখিতে সুলতানা আপনকার দেহের দিকেও নতুন করিয়া দৃষ্টিপাত করিলেন। দেখিলেন আপনকার বাহুলগ্ন শিরাপুঞ্জিকার মতন ছড়ানো ছিটানো ভারতীয় রেলপথের এই শিরা-উপশিরা। আপন দেহের সহিত দেশের তুলনাটা সহজেই মনে পড়িল তাহার। হিন্দুস্তানি পদ ‘দেহ’ আর বাংলা শব্দ ‘দেশ’ তো আদপেই এক শব্দ। দেহ মানে দেশ আর দেশ মানে দেহ। যাহার বিস্তার আছে- দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বেধ আছে- তাহাই তো দেশ অর্থাৎ দেহ। হিন্দুস্তানের ভাষায় দেশের বা গ্রামের লোককেই না লোকে বলে ‘দেহাতি’ লোক!
গোধূলির আলোকমালায় সুলতানা গণিকার দেহ আর দেশ একাকার হইয়া গেল। দেশ তো মা। এতক্ষণে মনে হইল গণিকার দেহ- সংক্ষেপে গণিকা-‘মা’ হইলেন অর্থাৎ বিপরীত রতিক্রমে তাহার ঠাহর হইল যে মাও ‘গণিকা’ হইয়াছেন। পাঠকের ছোট ‘পাঠিকা’! ভাবিয়া দেখিবেন কি? গণিকার সহিত গণতন্ত্রের কি আত্মীয়তা! পুস্তকের ছোট যেমন ‘পুস্তিকা’ তেমনি পত্রের ছোটও ‘পত্রিকা’ই। একই নিয়মে গণের ছোট ‘গণিকা’বৈকি।
রেলগাড়ির বগি-বাহিনীকে গণিকা সুলতানার অকস্মাৎ মনে হইল আসন্ন খরিদ্দার বাহিনী। খরিদ্দাররাও কি এইপথে রেলপথে দিল্লি আসেন না! রেলপথই তো সারাদেশ এক করিয়াছে। গড়িয়াছে নতুন ভারতীয় জাতি। আমির মুফতি বলিতেছেন, মান্টো এই জায়গায় একটা কাণ্ডই করিয়াছেন। সকলেই জানেন, দেশের ‘স্বাধীনতা-ব্যবসায়ী’ শ্রেণী অথবা বিশেষ বিশেষ জাতি-ব্যবসায়ী শ্রেণী অনেকদিন হইল দেশের রূপকস্বরূপ অপর্যাপ্ত নারীদেহ ব্যবহার করিয়া আসিতেছেন। আশংকা হইতেই পারে, সাদাত হাসান মান্টোও বুঝি সেই পথেই গমন করিতেছেন। না, মহাজন মহাজ্ঞানীদের পথ ধরিয়া স্বীয় কীর্তিধ্বজা তিনি মোটেও ধরিলেন না। পার্থক্যের মধ্যে, ‘মাতৃগমন’ না করিয়া তিনি যাহা করিলেন তাহাকে বড়জোর ‘গণিকাগমণ’ বলা যাইতে পারে। দুই প্রকার অগম্যাগমনের মধ্যে কোনটা বেহতর তাহা গুণীজনই বলিবেন।
অবশেষে গল্পের উপান্তে আসিয়া সুলতানার সহিত পরিচয় ঘটে শঙ্করের। শঙ্কর নির্বান্ধব নহে। মুখতার নামক আর একজন গণিকার সহিতও তাহার সম্পর্ক। তাহাতে কি! সুলতানা তাহাকেও- শঙ্করকেও- ভালোবাসা দিয়াছেন। আর আপনকার বিঘোষিত দেবদত্ত প্রেমিক খোদা বকশের পীরধরা লইয়া তাহার সহিত ঝগড়াও একদফা করিয়াছেন। শঙ্করের মতে এই মহল্লায় আসিলে মোল্লায় আর বামুনে কোন ভেদ থাকে না, থাকিতে পারে না। এই জায়গায় আসিয়া দুইজনকেই এক ব্যবহার করিতে হয়। সেই ব্যবহার-শরিফের নাম শরিফ ব্যবহার।
৩
একটা আবদার কিন্তু সুলতানা না করিয়া পারেন নাই। সামনে উৎসব, মুহররম মাসের উৎসব। এই উৎসব ধর্মীয় সত্যের বিষয়। সুলতানারও তাই একপ্রস্ত কালো সালোয়ার-কামিজ প্রয়োজন। নহিলে উৎসবের মান থাকে না। শাদা কামিজে রং করাইয়া কালো একটা কামিজ বানাইবার সামর্থ্য তাহার আছে। কিন্তু নতুন কালো সালোয়ার একটা বানাইবার সংগতি তাহার নাই! এই সংকটের কথাই সুলতানা জানাইলেন তাহার নবলব্ধ নতুন জোটা বন্ধু শঙ্করকে। ত্রাতারূপে তাহার দেখা পাইলাম আমরা। সেদিন শঙ্করজি সুলতানার কানের দুইটা রূপার মাকড়ি চাহিয়া লইয়া গেলেন আর পরদিন কোথা হইতে একপ্রস্ত ঝকঝকে নতুন কালো সালোয়ার আনিয়া তুলিয়া দিলেন সুলতানার হাতে।
পরের দিন সুলতানার সহিত মুখতারের দেখা হইল। মুখতার দেখিলেন সুলতানার পরনের সালোয়ারটা তো গতকাল তাহার কাছেই চাহিয়া আনিয়াছে শঙ্কর। আর সুলতানাও ভি দেখিতে পাইলেন তাহারই আদরের মাকড়িযুগল মুখতারের কানে শোভা পাইতেছে। ভালোবাসার রূপও বদল হইতেছে।
আমিন।
দোহাই
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শান্তিনিকেতন, ১ম খণ্ড, পুনর্মুদ্রণ (কলিকাতা : বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, ১৪১৭)।
২. Aamir R. Mufti, Enlightenment in the colony: the Jewish question and the crisis of postcolonial culture (Princeton, NJ: Princeton University Press, 2007).