মফিদুল হককে সংবর্ধনা দিলেন প্রকাশকরা
মফিদুল হক, তিনি একাধারে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক ও প্রকাশক। এই সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষটি এ বছর পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’। তাঁর এই পদকপ্রাপ্তিতে তাঁকে সংবর্ধনা জানায় ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি’।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মফিদুল হককে উপহার হিসেবে তাঁর আত্মপ্রতিকৃতি তুলে দেন ড. আনিসুজ্জামান ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। চিত্রশিল্পী আবদুস শাকুর শাহর আঁকা একটি তৈলচিত্র তাঁর হাতে তুলে দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এ ছাড়া সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে বইসহ নানা উপহার দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘এ দেশের গণহত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণটি একমাত্র মফিদুল হকই দিতে পারেন। এ বিষয়ে অসংখ্য লেখাও লিখেছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজ উদ্যোগেই তিনি এ কাজটি করেছেন। তাঁর নানামুখী কর্মকাণ্ডের জন্য আমি গর্ববোধ করি।’
প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আজকের আয়োজনটা প্রকাশকদের। কিন্তু শুধু প্রকাশকরা নন, শিল্প-সংস্কৃতি-মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব মানুষই মফিদুল হককে নিজেদের বলে দাবি করতে পারেন। এসব মাধ্যমে যেকোনো সংকটের সময়ের সিদ্ধান্ত তিনি ছাড়া অসম্পূর্ণ।’
বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে সবার ভালোবাসার জবাবে মফিদুল হক বলেন, “জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক এ ধরনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠান হলে সবাই ভালো ভালো কথা বলেন। যা শুনে বেঁচে আছি না মরে গেছি, বলা মুশকিল, অথবা মরে গেলেও টের পাই না।’”
মফিদুল হক তাঁর বক্তব্যে প্রকাশনা শিল্পের শত বছরের ইতিহাস তুলে ধরেন। সে সঙ্গে সম্প্রতি মৌলবাদী হামলা নিহত ফয়সল আরেফিন দীপনসহ সব প্রয়াত প্রকাশকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।