‘বিশ্ববাজারে বাংলা সাহিত্য সমাদৃত হচ্ছে না’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো প্রকাশনাবিষয়ক দুদিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘প্রকাশনার মুক্ত পৃথিবী’ শীর্ষক এই প্রকাশনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারের সমাপনী দিন ছিল গতকাল শনিবার।
সমাপনী দিনের এই সেমিনারে লেখক ও প্রকাশকদের জন্য মুক্ত প্রকাশনার ক্ষেত্র প্রস্তুতে সবাই একজোট হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রকাশকরা।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষে মানুষে সম্পর্ক সৃষ্টিতে প্রকাশকদের আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিটি ভাষার ভালো বইগুলো অনুবাদের মাধ্যমে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার প্রকাশকদেরও সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তরুণ লেখক-প্রকাশকদের জন্য এই প্ল্যাটফর্ম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গ্লোবাল নেটওয়ার্কের যুগে লেখক-প্রকাশকদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।’
শেষ দিনে তিনটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার। সেশনগুলো হলো ‘দেশীয় প্রকাশনার আন্তর্জাতিককরণ’, ‘প্রকাশনায় নারী’ ও ‘প্রকাশনার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা’। এতে বিদেশি প্রকাশকদের মধ্যে অংশ নেন ভারতের মন্দিরা সেন ও ইমানুল হক, শ্রীলংকার দীনেশ কুলাতাঙ্গা এবং নেপালের লিখাত পান্ডে।
তিন সেশনের সভাপতিত্ব করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অধ্যাপক নিয়াজ জামান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী।
অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, অ্যামিরিটাস পাবলিশার্স মহিউদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি।
সেমিনারে কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘দেশীয় প্রকাশনাকে আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে দিতে গিয়ে প্রকাশকরা নানা বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভিন্ন দেশি সাহিত্যের আবেদন যখন বাড়ছে, তখন নীতিনির্ধারকরা নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে বিস্তার বাধাগ্রস্ত করছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘যথাযথ অনুবাদের অভাবে বিশ্ববাজারে বাংলা সাহিত্য সমাদৃত হচ্ছে না।’