স্মরণ
আহমদ ছফার জাতি : রক্ত দিয়ে চিন্তা
‘বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম ভারতীয় জনগণের সংগ্রামকে অনেক দূর পর্যন্ত পথ দেখিয়েছে।’
—আহমদ ছফা
আজ ২৮ জুলাই—মহান লেখক আহমদ ছফার অকাল মৃত্যুদিবস। অনেকেই জানেন ২০০১ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। এখন তিনি মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের পাশের সাধারণ গোরস্তানে শায়িত আছেন। আহমদ ছফার অগস্ত্যযাত্রার গোটা তিন বছর আগে প্রয়াত হইয়াছিলেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনাম্নী বুদ্ধিজীবী শ্রীমতি গৌরী আইয়ুব (পৈত্রিক নাম ‘দত্ত’)। তিনি একদা এক জায়গায় লিখিয়াছিলেন, ‘স্থান কাল পাত্রের মধ্যে কাল সম্বন্ধেই আমাদের স্মৃতি সবচেয়ে দুর্বল।’ কথাটা আমার ক্ষেত্রেও একবার অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হইয়াছিল।
বিগত ৩০ জুন ছিল আহমদ ছফার ৭৪ বারের জন্মদিন। ঐ দিনের সম্মানে রচা এক নিবন্ধে আমি উল্লেখ করিয়াছিলাম, ‘আহমদ ছফা মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন ২০০১ সালের ২৮ জুলাই। সেদিন সন্ধ্যায়—অস্তগামী সূর্য অস্তমিত হইবার অনেক পরে—তাঁহাকে মাটি দিয়া আসিয়াছিলাম মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের ডানপাশে সামান্য এক কবরে।’ আহমদ ছফা কবর পাইয়াছিলেন প্রকৃত প্রস্তাবে সেদিন নহে, তাহার পরদিন—অর্থাৎ ২৯ জুলাই। ‘কাল সম্বন্ধেই আমাদের স্মৃতি সবচেয়ে দুর্বল’ —এ কথা আবারও সত্য হইল। আহমদ ছফা পরিবারের দ্বিতীয় লেখক প্রতিভাবান নূরুল আনোয়ার এই অপরাধে আমাকে একদিন ভালো ভর্ৎসনা করিয়াছেন। এই ভর্ৎসনা আমার প্রাপ্য হইয়াছিল। আমি তাঁহার ঋণ স্বীকার করি।
আহমদ ছফার স্মৃতিতর্পণ করিতে বসিয়া স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন একদা লিখিয়াছিলেন, ‘অবিন্যস্ত কেশরাশি, সাধারণ বেশভূষা, সাধারণ বাস, এমনকি কথাবার্তাতেও অতি সাধারণভাবে কঠোর সত্যের উচ্চারণ আহমদ ছফাকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছিল।’ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, শ্রীমান নূরুল আনোয়ারও তাঁহার কাকার এই বৈশিষ্ট্যটি যেনবা উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করিয়াছেন। আল্লাহতালা তাঁহার হায়াত দারাজ করুন।
রাশেদ খান মেনন একটু অধিক গিয়াছেন। তাঁহার মতে, ‘আহমদ ছফা প্রথাগত মানুষ ছিলেন না, তিনি বরং প্রথাকে অস্বীকার করেই চলতেন। নিজের জীবনেও বিশেষ শৃঙ্খলা ছিল না তাঁর। কিন্তু যখন তাঁর লেখায় ফুল, বৃক্ষ, পাখি, প্রকৃতির বর্ণনা করেছেন তখন তার মধ্যে যে অপার শৃঙ্খলা তাকে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন নিপুণভাবে তাঁর লেখায়। প্রকৃতির এই শৃঙ্খলা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তিনি ঐ প্রকৃতির বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শের মধ্য দিয়ে জীবনকে আস্বাদন করতে পেরেছেন।’ রাশেদ খান মেননের এই বক্তব্যের সহিত আপনারা অনেকেই পরিচিত। আমিও বিনাবাক্যে ইহার সহিত একমত হইতে পারি।
এই কথার পর পরই মেনন সাহেব লিখিয়াছেন, ‘এসবের পরও তাঁকে দেখা যায় একজন সাংবাদিক হিশেবে।’ তিনি আহমদ ছফার আরও অনেক গুণের কথা, কীর্তির কাহিনী স্মরণ করিয়া পরম সহৃদয়তার পরিচয় দিয়াছেন। তিনি বিশেষ করিয়া উল্লেখ করিয়াছেন ‘জার্মান সাহিত্য সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ও ভালোবাসা’র কথা। ‘আহমদ ছফা : প্রথার বাইরের মানুষ’ নামের এই নিবন্ধে মেনন পরিতাপ করিয়াছেন, ‘বাংলাদেশের সাহিত্য, বাংলাদেশের মননজগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডল তাঁকে হারিয়ে অনেকখানি রিক্ত হয়ে পড়েছে।’ রাশেদ খান মেনন কথিত এই সুসমাচারের সত্যতায় মোটেও সংশয় নাই আমার। নতুন কথা শুধু একটাই জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা করে : আহমদ ছফাকে নিছক সাংবাদিক কিংবা সাহিত্য ব্যবসায়ী বলিয়া বর্ণনা করিলে বাংলাদেশের মননজগতে বা বুদ্ধিবৃত্তির পরিমণ্ডলে তাঁহার যে সত্যকারের দান তাহার কতটুকুই বা স্বীকার করা হয়!
কে কি মনে করিবেন জানি না, আমি এমন কোন ভুবনবিহারী মানুষ নহি। তবু বলিতে চাই, আহমদ ছফার সহিত তুলনা করা যায় এমন কোন দ্বিতীয় মানুষের দেখা আমি গরিব এই বাংলামুলুকে পাই নাই। আমি দেখিয়াছি, তাঁহার ধ্যান জ্ঞান সাধনার একটা বড় অংশ জুড়িয়া ছিল বাংলাদেশের মানুষ—তাহার জাতি, স্বাধীনতা ও নিয়তি। ১৯৭১ সাল বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আহমদ ছফারও একপ্রকার নতুন জন্ম নিশ্চিত করিয়াছিল বলিলে বেশি বলা হইবে না। এই অভিজ্ঞতা তাঁহার চিন্তায় নতুন নতুন উপাদান যোগ করিতেছিল। সেই চিন্তার অধিকার বিনামূল্যে দূরের কথা, একান্ত ন্যায্যমূল্যেও পাওয়া যায় নাই। ১৯৭২ সালের নভেম্বর নাগাদ রচা এক নিবন্ধে তিনি যোগ করিয়াছিলেন, ‘আমরা এমন একযুগে বাস করছি, যখন রক্ত দিয়েই চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছি। চারদিকে এত অন্যায়, অবিচার, এত মূঢ়তা এবং কাপুরুষতা ওঁৎ পেতে আছে যে এ ধরণের পরিবেশে নিতান্ত সহজে বোঝা যায় এমন সহজ কথাও চেঁচিয়ে না বললে কেউ কানে তোলে না।’ এই কথাটি তাঁহাকে আর কোনদিন বিয়োগ করিতে দেখি নাই।
১৯৭১—কি অর্থ বহন করে এইসব মিলিত অক্ষর? যখন দেশ জুড়িয়া মুক্তিযুদ্ধ চলিতেছে—জাতি প্রসববেদনায় কাতরধ্বনি উচ্চারণ করিতেছে তখন একাত্তর শব্দের একটি অর্থ প্রবল ছিল—বাংলাদেশ স্বাধীন হইল। প্রায় সকলেই বলিতেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রমাণ করিয়াছে মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ প্রচারিত দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা হইল। দেশ স্বাধীন হইবার পর কেহ কেহ একাত্তর সালের নতুন একটি অর্থ উদ্ধার করিতে প্রয়াস পাইলেন। এই অর্থবাদ অনুসারে ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে ভারতবর্ষের দুই প্রান্তে যে দুইটি মুসলমান-প্রধান রাষ্ট্রের রূপরেখা দেওয়া হইয়াছিল ১৯৭১ তাহাই সত্য প্রমাণ করিয়াছে। আহমদ ছফার মতে, এই দুই নম্বর অর্থটি আবিষ্কার যাহারা করিয়াছেন তাহারা সেই সামাজিক শ্রেণীরই প্রতিনিধি যে শ্রেণী এই দেশের অভ্যুদয়ের পর নিজেদের আসন হারাইয়া ফেলিয়াছিলেন।
এই দুই অর্থের কোনটার সহিতই আহমদ ছফা গাঁটছড়া বাঁধেন নাই। তাঁহার চিন্তার এই দিকটি ‘নিতান্ত সহজে বোঝা যায় এমন সহজ কথা’ হইলেও তাহা খুব বেশি লোকে কিন্তু কানে তোলেন নাই। রাশেদ খান মেননের উপরের লেখাও তাহার একটি প্রমাণ। এই চিন্তা ছিল সাংবাদিকতার অধিক। এই চিন্তায় যুগান্তরের ঘূর্ণিপাক ধরা পড়িয়াছে। তিনি বলিতেন, ভারতবর্ষ কংগ্রেস-কথিত একজাতি যেমন নয়, তেমনি নয় জিন্নাহ সাহেবের দুই জাতির দেশও। আহমদ ছফার কথায়, ‘ভারতবর্ষ বহু জাতি, বহু ধর্ম, বহু বর্ণ এবং বহু ভাষার দেশ।’ তাঁহার মতে বাংলাদেশের জন্ম এই সহজ সত্যকেই নতুন করিয়া সপ্রমাণ করিয়াছে।
তিনি প্রশ্ন করিয়াছিলেন, ‘কংগ্রেসের দাবি মোতাবেক ভারতের সব জাতি মিলিয়ে একজাতি কথাটি যদি সত্য হয়, তাহলে একসার অগ্নিগিরির মতো ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের জাতিসত্তাগুলো যে স্বাধিকার, স্বায়ত্তশাসন এবং কোথাও কোথাও স্বাধীনতার দাবিতে ফুঁসে উঠছে, সেই ঘটনাগুলো কিভাবে ব্যাখ্যা করব?’
বাংলাদেশ শব্দের যে অর্থ সেদিন ভারতরাষ্ট্রের কর্ণধারেরা করিতেছিলেন তাহার সারমর্ম ছিল এইরকম : জিন্নাহ সাহেবের দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হইয়াছে। কিন্তু ইহার অনুসিদ্ধান্ত ছিল অনেক। এক অনুসিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতবর্ষের সব জাতি মিলিয়া একটিই জাতি—নাম ভারতজাতি—কংগ্রেসের এই নীতিটি যথার্থ। বাংলাদেশের রণক্ষেত্র তাহার আরেকটি প্রমাণ বৈ নয়। ভারতপথিক মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৭১ সালের একযুগ আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া রাখিয়াছিলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিস্তর প্রভেদ। আর কাহারও পক্ষেই একথা বলা সম্ভব নয় যে এই দুই অংশের প্রভেদ ঘুচাইয়া তাহারা এক জাতি গঠন করিতে পারিবে।’ তিনি বিশদ করিয়াছিলেন, ‘যে সব দেশ ভূগোল, অর্থনীতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বিচারে পৃথক পৃথক দেশ বৈ নহে সে সব দেশ ধর্মের টানে একদেশ গঠন করিতে পারিবে এমন কথা যাহারা প্রচার করেন জনসাধারণের সহিত তাহারা ভয়ানক প্রতারণা করেন।’
এই সত্য ভারতীয়। বাংলাদেশের সত্য দাঁড়াইয়াছিল অন্য এক জায়গায়। সত্য অনুসারে জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা বলিয়া গান্ধী মহারাজের একজাতিতত্ত্ব সত্য—এমন কোন কথা নাই। ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ভিত্তিমূলে ছিল এই দ্বিজাতিতত্ত্ব। অর্থাৎ এই প্রশ্নে একমত হওয়া। কিন্তু ভারতবর্ষ একজাতির দেশ না বহুজাতির মহাদেশ—এই প্রশ্নে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বরাবরই দ্বিমত পোষণ করিয়াছে। তাহাতে দুই দেশের বন্ধুত্বে ফাটল ধরিবার কোন কারণ ঘটে নাই। বাংলাদেশের সহিত এক হইবার কোন ব্যাকুলতা পশ্চিমবঙ্গে কি ত্রিপুরায় দেখা যায় নাই।
আহমদ ছফাও লিখিয়াছেন, ‘কিন্তু মজার কথা হল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে ভারতের সঙ্গে যোগ দিল না, আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিশেবে মাথা তুলে দাঁড়াল।’ তিনি প্রশ্ন তুলিয়াছেন, ১৯৭১ সাল ‘কোন রাষ্ট্রনৈতিক সত্যকে মূর্তিমান করে তুলল?’ প্রশ্নটার উত্তরও তিনি যোগাইয়াছেন পাল্টা প্রশ্নের প্রকরণে : ‘ভারতবর্ষের সব জাতি মিলিয়ে একজাতি, এই নীতির অভ্রান্ততার কারণেই কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে?’ উত্তর অবশ্যই, ‘না’। তাঁহার দ্বিতীয় প্রশ্নটি আরও রক্তাক্ত: ‘ভারতবর্ষের সব জাতি মিলিয়ে যদি একজাতি হয়, ভারতীয় রাষ্ট্রসত্তার ভেতরে এই যে জাতিসত্তাগুলোর সংগ্রাম তার সঙ্গে ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তার সমীকরণটি কোন বিন্দুতে স্থির করব?’
আহমদ ছফার লেখার যে অংশ এখানে উদ্ধার করিয়াছি তাহার রচনাকাল সেপ্টেম্বর ১৯৯৩। প্রায় বছর তিনেক পর—১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তারিখে- রচা আরেক নিবন্ধে তিনি আরেকটু আগাইয়া গিয়াছিলেন : ‘বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলন সৃষ্টির পর ভারতের আসাম, অন্ধ্র ইত্যাদি অঞ্চলে ভাষা আন্দোলন হয়েছে। এখানে স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম জয়যুক্ত হওয়ার পর ভারতের নানা রাজ্য স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সংগ্রাম করতে নেমেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর অনেক অঞ্চলে ভারতের জনগণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করছেন। ফলকথা এই যে, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম ভারতীয় জনগণের সংগ্রামকে অনেকদূর পর্যন্ত পথ দেখিয়েছে।’ আহমদ ছফা এই বিপ্লবের স্বপ্নও দেখিয়াছিলেন। তাঁহার মতে, বাংলাদেশের মুক্তি ভারতের মুক্তি সম্ভব করিবার পথ পর্যন্ত দেখাইয়াছিল।
এই নিবন্ধে আমার যাহা বলার তাহা একপ্রকার শেষ হইয়াছে। কিন্তু লেখাটা জমাট করিবার জন্য কি করা যায়? এক কাজ করি। রাশেদ খান মেননের কথা দিয়াই আমার এই নাতিদীর্ঘ লেখার উপসংহার করি।
“কিন্তু আহমদ ছফার বিপ্লবী হবার সাধ পূরণ হয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঐ বিপ্লব পথ হারিয়েছিল। আহমদ ছফা ঐ ধারণাতেও খুব বড় ধরনের আঘাত পেয়েছিলেন। এমনিতেই খেয়ালি এই মানুষটি আরও খেয়ালি হয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেটা একদিক দিয়ে ভালই হয়েছিল বলে মনে হয়। তা না হলে হয়তো আহমদ ছফা বিপ্লবের সন্ধানেই ব্যস্ত থাকতেন। এদেশের সাহিত্যে যে অবদান তিনি রেখে গেছেন সেটা বোধ হয় বিশেষ জানা যেত না। ‘গণকণ্ঠে’র উপ-সম্পাদকীয়ের বিপ্লবী কথাবার্তায় আহমদ ছফার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের রচনাশৈলী আড়ালে পড়ে যেত। আহমদ ছফার লেখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে তিনি তাঁর ঐ লেখনীর মধ্যেও তাঁর সমাজ সংবেদনশীল মনটিকে গোপন করেননি। অনেক সময় ঐ লেখায় নিজেকে এবং অন্যকে বাধা দিতে গিয়েও এক ধরনের পাগলাটে আচরণের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মাঝে যে সমাজ-সচেতন দার্শনিকতার দেখা পাওয়া যায় সেটা লক্ষ্য না করে উপায় থাকে না।”
দোহাই
১. আহমদ ছফা, বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (ঢাকা : প্রকাশ ভবন, ১৩৭৯)।
২. --, ‘বাংলাদেশকে যেভাবে দেখি,’ আমার কথা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত (ঢাকা : উত্তরণ [মাওলা ব্রাদার্স], ২০০২), পৃ. ১০০-১০৩।
৩. --, ‘আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের একাংশ,’ আহমদ ছফা রচনাবলি, ৫ম খণ্ড, নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত (ঢাকা : খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০০৮), পৃ. ৩১২-৩১৪।
৪. রাশেদ খান মেনন, ‘আহমদ ছফা : প্রথার বাইরের মানুষ,’ বই, বর্ষ ৩৯, সংখ্যা ১১ (জুন ২০০৮), পৃ. ৮৩-৮৫।
৫. গৌরী আইয়ুব, ‘শিবনারায়ণ রায় বন্ধুবরেষু,’ আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য : রচনাসংগ্রহ (কলকাতা : দে’জ পাবলিশিং, ১৪২১), পৃ. ১৬০-১৬৯।
৬. Maulana Abul Kalam Ayad, India Wins Freedom: the Complete Version (Himayatnagar Hyderabad: Orient Longman, 1988).