মহাশ্বেতা দেবী আর নেই
প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ২২ মে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয় ৯০ বছর বয়সী এই লেখিকাকে।
বামপন্থী লেখক হিসেবে পরিচিত মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখির পাশাপাশি আদিবাসীদের সমাজ মান উন্নয়নে নিরলস কাজ করেছেন। বিশেষ করে লোধা ও শবরদের জীবনমান উন্নয়নে তিনি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে গিয়েছেন। প্রায় এককভাবেই তিনি এ লড়াই করেছেন।
প্রখ্যাত কবি মনীশ ঘটকের (যুবনাশ্ব) মেয়ে মহাশ্বেতার জন্ম ১৯২৬ সালে ঢাকায়। এখানেই লেখাপড়া। তবে দেশ-বিভাজনের পর চলে যান ভারতে। ভর্তি হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে।
ইংরেজি সাহিত্যে এমএ করার পর অধ্যাপনা করেছিলেন। প্রখ্যাত নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁদের সন্তান বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও কবি নবারুণ ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান নবারুণ।
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইকে নিয়ে বই লিখে প্রথম সবার নজরে আসেন মহাশ্বেতা দেবী। এরপর তিনি অসংখ্য গল্প-উপন্যাস লিখেছেন। সমাজের প্রত্যন্ত মানুষের জীবন ও নকশাল আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা এ উপন্যাসগুলো বেশ সাড়া জাগিয়েছিলো। তাঁর লেখা ‘অরণ্যের অধিকার’, ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘অগ্নিগর্ভ’ প্রভৃতি উপন্যাসের জন্য তিনি সমাদৃত হয়েছেন সাহিত্য মহলে।
তাঁর লেখা অসংখ্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার থেকে শুরু করে জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য একাডেমি প্রবর্তিত বহু পুরস্কার পেয়েছেন মহাশ্বেতা। পদ্মশ্রী ও পদ্মবিভূষণের মতো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।