স্বর্ণপদক পেলেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক আবদুল মান্নান
সাহিত্য-সমালোচক ও গবেষক মোবাশ্বের আলী স্বর্ণপদক পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। দেশের শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ দুই শিক্ষাবিদকে এই স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’-এর প্রধান ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের হাতে পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ড. আবদুল ওয়াহাব ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ইয়াসমিন আরা লেখা।
পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ‘মোবাশ্বের আলী’কে স্মরণ করে বলেন, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল থেকে শুরু করে দেশের বরেণ্য কবিদের নিয়ে তিনি (প্রয়াত সাহিত্য-সমালোচক, অনুবাদক ও গবেষক অধ্যাপক মোবাশ্বের আলী) অনেক গবেষণা করেছেন। তাঁর গবেষণায় তিনি আমাদের সামনে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে নতুন করে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, পুরস্কার তো অনেক পাওয়া যায়। কিন্তু আজকের এমন গুণীজনের নামাঙ্কিত পদক পাওয়া বিশেষ কিছু।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, “আমার জন্য এটা এক বিরল সম্মাননা। এটা পাওয়ার আমি উপযুক্ত নই। তবু মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশন আমাকে ‘মোবাশ্বের আলী স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত করায় আমি কৃতজ্ঞ।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিউর রহমান বলেন, ‘মোবাশ্বের আলীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে আমি প্রায়ই তাঁর বাসায় যেতাম। যখনই তাঁর বাসায় গেছি, তাঁকে (মোবাশ্বের আলী) দেখেছি গবেষণায় ব্যস্ত থাকতে। আমি অবাক হয়ে যেতাম তাঁর নিরবচ্ছিন্ন এবং নিবিষ্ট মনে গবেষণা দেখে।’ তিনি বলেন, তাঁর নামে মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক প্রদান করছে, এটা অত্যন্ত ভালো দিক। এটা অব্যাহত থাক।
এর আগে মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে পদকপ্রাপ্ত দুই গুণীর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।
আয়োজন সম্পর্কে মোবাশ্বের আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৌরভ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘২০১৪ সালে আমরা প্রতি দুই বছর পরপর এই পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই এই পদক দেওয়া হচ্ছে। এবারে শিক্ষা খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের দুই বরেণ্য শিক্ষাবিদকে এই পদক দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’