আলোকচিত্র বিষয়ে সম্মাননা পেলেন রফিকুল ইসলাম
ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে আলোকচিত্রণ বিষয়ে লেখক, শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা। লেখকের ‘ফটোগ্রাফি কলাকৌশল ও মনন’ গ্রন্থের সপ্তম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনের দিনে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি গতকাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোকচিত্রী রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সব্যসাচী শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার এবং প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী গোলাম মুস্তাফা। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি আশফাক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, ‘ফটোগ্রাফি অন্তর থেকে আসতে হবে। শুধু ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি হয় না। ফটোগ্রাফারকে হতে হবে দৃষ্টিনন্দন। তাঁর মনের দৃষ্টিনন্দন যখন খুলে যাবে, তখনই ফটোগ্রাফি হবে। যা দেখলাম ক্যামেরায় তা তুললাম, তা ফটোগ্রাফি নয়। রফিকুল ইসলামের ফটোগ্রাফি বইটি ফটোগ্রাফারদের অনেক কাজে লাগবে এবং ফটোগ্রাফাররা উপকৃত হবে।’
গোলাম মুস্তাফা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প চর্চার ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফির অবদান অনেক। কিন্তু এই সেক্টর সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। সরকারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন ফটোগ্রাফির উন্নয়নের জন্য কাজ করে। ফটোগ্রাফি সেক্টরের পাশাপাশি এই সেক্টরের শিক্ষকরাও অবহেলিত হচ্ছেন। শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মতো মানুষের জীবদ্দশায় আজ সম্মাননা পেলেন, সত্যি প্রশংসনীয়।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ফটোগ্রাফির উন্নতির জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আমি যা কিছু জানি, তার সবকিছু ছাত্রদের দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ভেবেছিলাম, আমার কাজ শেষ হয়ে গেছে। সম্মাননা পাওয়ার পর আমার দায়িত্ব বেড়ে গেল। আমি নতুন করে শক্তি অনুভব করছি, আরো কিছুদিন এই মহৎ কর্মে নিজেকে নিয়োজিত রাখার। সৃষ্টিকর্তা আমার সহায় হোন।’
আশফাক আহমেদ বলেন, ‘বিপিএস থেকে প্রায় প্রতি মাসেই আমরা কর্মশালার আয়োজন করি। আমাদের কর্মশালাকে অধিকাংশ সময় অলংকৃত করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তাঁর শেখানোর ধরন সত্যি অসাধারণ। রফিকুল ইসলামের মতো মানুষ হয়তো শত বছরে আর আসবেন না। তাঁকে আজ সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে তাঁর শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করল যে স্যার শিক্ষার্থীদের কাছে কতটা জনপ্রিয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিজল ক্রিয়েটিভ-এর কর্ণধার আবু সুফিয়ান নিলাভ, ফয়জুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, তানিম রিদওয়ান, রেজাউল ইসলাম, প্রভাত কুমার এবং প্রিজমের ছাত্রছাত্রীরা।