ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল গুজরাতি গরবা, রাজশাহীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ভারতের গুজরাটের ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য গরবা ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মনোনীত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সংস্থাটির তালিকায় গরবা স্থান পেয়েছে বলে জানান ভারতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাকমিশন চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন রাজশাহীর নিক্কন শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা।
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার গারবা লোকনৃত্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে বলেন, ‘গরবা হল জীবন, ঐক্য এবং আমাদের মূল সংস্কৃতির উদযাপন। ইনট্যানজিবল হেরিটেজ লিস্টে এর অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় এবার বিশ্বের কাছে ভারতীয় তথা এই উপমহাদেশের সংস্কৃতির সৌন্দর্য প্রদর্শিত হবে। এই সম্মান আমাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচার করতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। গরবার বিশ্বব্যাপী এই স্বীকৃতি আমাদের সকলের জন্য গৌরবের।’
মনোজ কুমার ৬ ডিসেম্বর উদযাপিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক নয়, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক হচ্ছে আত্মিক, পারস্পরিক সমতা ও ন্যায্যতার।’
শাশ্বত বন্ধুত্ব উল্লেখ করে সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেন, ‘ভারত সবসময় বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও সম্প্রীতিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাস, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জানান অর্ণা।