অভিনেতা ব্ল্যাক আনোয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ব্ল্যাক আনোয়ারের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের আজকের দিনে (১০ নভেম্বর) মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আজ দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে ব্ল্যাক আনোয়ারের মেয়ে আফরিন হক আশা বলেন, ‘আজ বাবার মৃত্যুবার্ষিকী, এ দিনটি আমাদের পরিবারের জন্য সবচেয়ে শোকের। তবে মৃত্যুর এত বছর পর আপনারা আমাদের পরিবারের খবর নিচ্ছেন, বিষয়টি আনন্দের। কারণ, এক যুগেরও বেশি সময় হয়ে গেল, অথচ এত বছর কেউ আমাদের পরিবারের খবর নেয়নি।’
আশা আরো বলেন, ‘আমার বাবা অনেক হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। মিডিয়া জগতের অনেক মানুষই বাসায় আসতেন বাবার সঙ্গে। মৃত্যুর পর আর তেমন করে কেউ কোনোদিন আসেনি। আমি যে তাঁর মেয়ে, আমার নাম যে আফরিন হক আশা, এটাই তো কেউ জানে না।’
একসময় নৃত্য করতেন আফরিন হক আশা। বাবার জীবদ্দশায় কিছু অনুষ্ঠানে কাজও করেছেন। তবে পরে এ অঙ্গন থেকে দূরে সরে যান। আশার দুই ভাই। বড় ভাই চাকরি করেন আর ছোট ভাই শারীরিকভাবে অসুস্থ। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কোনোভাবে চলছে তাঁদের সংসার।
ব্ল্যাক আনোয়ার (আনোয়ার হোসেন) ১৯৪১ সালের ১০ জুলাই ঢাকার সূত্রাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক বাসস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায়। তাঁর বাবা সোনা মিয়া ছিলেন দেশের প্রথম সবাক বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অভিনয়শিল্পী। স্কুলজীবনে নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ব্ল্যাক আনোয়ার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করতেন ও মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন।
রহিম নওয়াজ পরিচালিত ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সুয়োরানি দুয়োরানি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্ল্যাক আনোয়ার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘টাকা আনা পাই’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘জননী’, ‘সোনার হরিণ’, ‘রঙ্গীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘গরিবের বউ’, ‘কাবুলিওয়ালা’ প্রভৃতি।
১৯৮৯ সালে তিনি ‘ব্যথার দান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। জনপ্রিয় এই অভিনেতা চলচ্চিত্র ছাড়াও অভিনয় করেছেন বেতার ও টেলিভিশন নাটকেও।