অসহায়ের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে ‘ছোট ডায়েরী’
ছেলেবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু, কোন উপায়ে–ভেবে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে সেবামূলক কাজ শুরু করেন ২০১৯ সালে। তখন তিনি সবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু করেছেন পড়ালেখা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজের মোটরবাইকে ঘুরে বাড়িয়ে দিতেন সহায়তার হাত। প্রথমে বন্ধুদের সহযোগিতায় চলত সব। একপর্যায়ে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলে তার কাজ। এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন তার ভাল কাজকে আরও এগিয়ে নিতে।
বলছিলাম প্রাইম ইউনিভার্সিটির ছাত্র শাহজাহান সাইফের কথা। মানবতার পাশে দাঁড়াতে প্রতিষ্ঠা করেছেন বেসরকারি সংগঠন ‘ছোটো ডায়েরী’। সমাজের বঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটানোর সঙ্গে সঙ্গে অন্যদেরকেও এই কাজে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছেন তিনি।
আজ রোববার (৭ মে) শাহজাহান সাইফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারগুলোকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া এবং প্রতিকূল অবস্থায় তাদের মৌলিক চাহিদার যোগান দিতে পারার চেয়ে বড় কাজ আমার মতে আর কিছু হতে পারে না। একটি ক্ষুদ্র বিনয়ী প্রচেষ্টা একজনের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, আর সেটা দেখতে পারাটা সত্যিই সন্তোষজনক।’
সাইফ আরও বলেন, ‘আমি ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু করলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজগুলো ভিডিও আকারে আপলোড দেওয়া শুরু করি। আমি পেশায় একজন ছাত্র, ছেলেবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল, অসহায় মানুষের জন্য কিছু একটা করার, আর অন্যদেরকেও ভাল কাজ উৎসাহিত করার। সেজন্য আমি যে ভিডিওগুলো করি, এগুলো কন্টেন্ট আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করি, যাতে করে আমার ভালো কাজ গুলো দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হয়।’
সাইফ বলেন, ‘সিলেটের বন্যা, কুড়িগ্রামের বন্যা, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন প্রান্তে সহযোগিতা নিয়ে কাজ করেছি। গত মাসে রোজার মধ্যে বিভিন্ন রোজাদারদের জন্য কাজ করেছি। অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি আমার ফেসবুক এবং ইউটিউবে ইনকামের টাকায়, কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক সময় বেশি টাকার প্রয়োজন হয়, তখন আমি যারা সামর্থ্যবান আছেন তাদেরও আমার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই এবং তাদের থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করেছিলাম। এই যেমন সিলেটের বন্যা।’
ছোটো ডায়েরী মানবতার সেবার পাশাপাশি রমজানে প্রতিদিন ৫০টি পরিবারে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করেছে। সাইফ বলেন, ‘সাধারণ কিছু কাজ মানুষের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।’