আদালতের নির্দেশে দাফনের ৪ মাস পর মরদেহ উত্তোলন
মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে চার মাস পর কবর থেকে এক যুবকের মরদেহ তোলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইরদেউল এলাকা থেকে এ মরদেহ তোলা হয়।
নিহত নজরুল ইসলামের ভাই মো. বদরুল ইসলাম জানান, তাঁর ভাইকে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে তাঁর মা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।
আজ দুপুরে চার মাস আট দিন পর আদালতের নির্দেশে স্থানীয় বড়চেগ বিক্রমপুর কবরস্থান থেকে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করেন। এর চার দিন পর ১ ফ্রেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম সেখানে মারা যান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশনা পেয়ে নিহত নজরুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তুলে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকারের উপস্থিতিতে মরদেহ তোলা হয়।’