আবু ত্ব-হার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান রাঙ্গা
ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের সন্ধান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় তিনি এ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “আমাদের রংপুরের একজন সন্তান সে, ইসলামী বক্তব্য বক্তব্য দেয়। সে রংপুর থেকে ঢাকা আসছিল, গাবতলীতে তার চারজন সঙ্গীসহ গায়েব হয়ে যায়। তার স্ত্রীকে বলে ১৫ মিনিট পরে বাসায় চলে যাব, কিন্তু বাসায় পৌঁছতে পারে নাই। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই, তিনি গতকাল বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টা দেখব, সে যেখানে থাকুক আমরা খুঁজে বের করার ব্যবস্থা আমরা নিব।’ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করেছেন সেই আলেমের স্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে মা বলেছেন, ‘আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেন। দরকার হলে আমরা এই দেশ থেকে চলে যাব।’ তাহলে কতবড় আঘাত পেলে তারা এই কথাটা বলতে পারেন। দ্রুত আরও অনেক ঘটনা ঘটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর সহচর রয়েছে, তারাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করেন। তাই আদনানের বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সম্প্রতি আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরউদ্দিন মাহমুদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দলটির সাবেক মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা যদি পরী মণির ব্যাপারে আজকে আসি, তাহলে আমরা একটুকু বলতে পারি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর হৃদয় আপনিও জানেন, আবার আমিও জানি। উনি একজন মা হিসেবে উনি তা রেসপন্স করেছেন। নাসির আমাদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, তিনি যদি এটা করে থাকেন, তাহলে বিচারে যদি আসে, সমস্যা নেই। আইন আইনের গতিতে চলুক এবং আইনের গতিতে তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে আমাদের কোনো বাধা নেই মাননীয় স্পিকার। কিন্তু কারো সাথে অন্যায় করার, কারো গায়ে হাত দেওয়ার এবং অপমান করার এখতিয়ার কেউ রাখে না। পুলিশ যেমন রাখে না, তেমন একজন মানুষও রাখে না।’
বিভিন্ন ক্লাবে মদপানের ঘটনা প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘একজন মানুষ ক্লাবের সদস্য থাকলে, সে ক্লাব থেকে ডাক্তার একটা সার্টিফিকেট দেয়, যে উনার জীবন রক্ষার জন্য প্রতিদিন মদের প্রয়োজন। এ ধরনের একটি লাইসেন্স তৈরি করে নেয়, সেই লাইসেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে একজন বাড়িতে সম্ভবত সাত বোতল মদের বোতল রাখতে পারে, এটা ১/১১-এর সময় আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখেছি।’
‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, মালয়েশিয়ায় একটি জায়গা রয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের মতো। সেখানে বাংলাদেশের এবং মালয়েশিয়ায় কোনো লোক যেতে পারে না, সেখান শুধু বিদেশিরা যাবে। তারা সেখানে গিয়ে যা করবে সেটা দেখার বিষয় না।
রাঙ্গা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা পরিবর্তন বা অবনতি হয়নি। তারপরেও সব কিছুর বিষয়ে আমি জানি। বাংলাদেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের অভাব-অনটনের কারণে তারাও বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি করে।