‘আব্বু, তুমি কোনো চিন্তা করো না’, রায়ের আগে মিন্নি
সারা দেশে আলোচিত বরগুনার মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ (২৬) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। এরই মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন এ মামলার অন্যতম আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে মোটরসাইকেলে করে আদালতে নিয়ে আসেন।
রায় ঘোষণা নিয়ে মিন্নি প্রসঙ্গে কথা হলে তাঁর বাবা বলেছেন, “আমার মেয়ে বলেছে, ‘আমি নির্দোষ। ন্যায়বিচার হলে অবশ্যই খালাস পাব। আব্বু, তুমি কোনো চিন্তা করো না।’”
মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আরো বলেন, ‘আমিও বিশ্বাস করি, যদি আদালতে কারো হস্তক্ষেপ না থাকে, তাহলে আমার মেয়ে খালাস পাবে। আর যদি কোনো প্রভাব থাকে, তাহলে তাঁকে কোনোভাবে ফাঁসানো হতে পারে। তবে আমি এতটুকুও বিচলিত নই। কারণ, বাংলার জমিনে আদালত একটা না। অবশ্যই আমি কোনো না কোনো আদালতে ন্যায়বিচার পাব।’
আদালতে আসার আগে মিন্নি মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছেন জানিয়ে তাঁর বাবা বলেন, ‘মিন্নি আমার মেয়ে, আমি যেমন এখন শক্ত আছি, আমার মেয়েও তেমনই আত্মবিশ্বাসী। রায় যাই হোক, আমরা কোনোভাবে বিচলিত নই।’
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা আজ। মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড গত বছরের ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। অন্য একজন আসামি মো. মুসা আগে থেকেই পলাতক।
এ মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বরগুনার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ভুবন চন্দ্র হালদার। সঙ্গে ছিলেন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী এ এম মুজিবুল হক কিসলু ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, মো. শাহজাহান মিয়া, হুমায়ুন কবীর, অলি উল্ল্যাহ সবুজ ও আবদুর রহমান নান্টু।