আ.লীগনেতার বাড়িতে ডাকাতি, পুলিশের দাবি চুরি
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৮ ফেব্রয়ারি) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাউসার মোল্লার বাড়িতে এই ডাকাতি সংঘটিত হয়।
পুলিশ, স্থানীয় এবং ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দিনগত রাত ১টার দিকে আওয়ামী লীগনেতা কাউসার মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় এক দল ডাকাত। এ সময় ডাকাত সদস্যরা বাড়ির বাইরের লোহার গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়িতে আওয়ামী লীগনেতার ছেলে সুমন আহমেদ ওরফে বাবু এবং তাঁর স্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগনেতা কাউসার মোল্লা অসুস্থ থাকায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী।
ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সুমনকে ধারালো অস্ত্র ধরে জিম্মি করে ফেলে। পরে ঘরের ভেতর আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
আজ দুপুরে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে সুমন আহমেদ বলেন, গতকাল দুপুরে তাঁর বাবা কাউসার মোল্লা উপজেলা সদর থেকে বাড়িতে আসার পর অচেতন হয়ে পড়েন। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। রাতে তাঁর মা-ও তাঁর বাবার সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। রাতে ঘরের ভেতরে পাঁচ ডাকাত সদস্য ঢুকে শাবল ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আলমারি ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে যায়।
সুমন আহমেদ দাবি করেন, আলমারিতে তাঁর দুই বোন ও মায়ের ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। এ ছাড়া ছোট বোনের রাখা পাঁচ লাখ টাকা এবং মায়ের জমানো সাত লাখসহ মোট ১২ লাখ টাকা ছিল। হজে যাওয়ার জন্য তাঁর বাবার বেশকিছু রিয়ালও ছিল ওই আলমারিতে। এসব স্বর্ণালংকার, টাকা ও রিয়াল ডাকাতরা লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় সুমন আহমেদ থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে আজ বেলা ১টার দিকে শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন। এই সুযোগে চোরেরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’