ঈদে যাওয়া-আসায় সড়কে ঝরল ৬৮১ প্রাণ !
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৮১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এ সব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৭ জন। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড।
দেশের ২৮টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনে পাওয়া তথ্যের পাশাপাশি সারা দেশে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্য সমন্বয় করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদে নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬৮ জন আহত ও ১৯০ জন নিহত হয়েছে। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩২১ জন এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন; খানাখন্দ, অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সঙ্গে চলাচলের কারণে লরি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারিচালিত রিকশা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি, এতে আহত হয়েছে ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, এসময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল তা হলো— ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম টিকিট সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া বাড়ানোর অপচেষ্টা করে একটি কুচক্রি মহল। আর এতে সম্পৃক্ত সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ।
সেভ দ্য রোড দাবি করেছে, ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেললেও পুলিশ-প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করেছে। এ থেকে উত্তরণে সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
সংগঠনটির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সড়কপথে দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬৪ জন।