কবি মমিনুল মউজদীন স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন
মরমি সাধক হাসন রাজার প্রপৌত্র ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার তিনবারের পৌর চেয়ারম্যান প্রয়াত কবি মমিনুল মউজদীনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা হয়েছে। আজ রোববার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে মমিনুল মউজদীন স্মৃতি সংসদ এ সভার আয়োজন করে।
স্মরণসভায় প্রবীণ শিক্ষক আলী হায়দার সভাপতিত্ব করেন। মাওলানা এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ক্রীড়া সংগঠক পারভেজ আহমদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুল ইসলাম বজলু, সমাজকর্মী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন, পৌর কাউন্সিলর আহমেদ নূর, ব্যবসায়ী ঝুটন পুরকায়স্থ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, সমাজকর্মী ইব্রাহিম মিয়া, জুয়েল মিয়া প্রমুখ।
এর আগে মমিনুল মউজদীনের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, মমিনুল মউজদীন একজন স্বপ্ন ও সত্যদ্রষ্টা মানুষ ছিলেন। অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। তিনি জোছনা উপভোগ করার জন্য রাতে শহরের সড়ক বাতি নিভিয়ে দিতেন। এতে তাঁর সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ।
দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখ্ত শহরের হাসননগর সড়কের শুরুতে ক্রীড়া সংস্থার দেয়ালে মমিনুল মউজদীন সড়কের নতুন ফলক উন্মোচন করেন।
এ সময় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, প্রবীণ শিক্ষক আলী হায়দার, পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বজলু, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক খলিল রহমান, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের সহকারী সম্পাদক মাহবুবুল হাসান শাহীন, কাউন্সিলর আহমেদ নূর, গোলাম সাবেরীন সাবু, হোসেন আহমদ রাসেল, শামসুজ্জামান স্বপন ও ফজর নূর, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৭ সালের আজকের দিনে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মমিনুল মউজদীন, তাঁর স্ত্রী তাহেরা চৌধুরী, ছেলে কাহলিল জিবরান ও ব্যক্তিগত গাড়িচালক কবির মিয়া মারা যান। কবি মমিনুল মউজদীনের দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো: ‘এ শহর ছেড়ে পালাবো কোথায়’ ও ‘হৃদয় ভাঙ্গার শব্দ’।