ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত, ১৪৪ ধারা জারি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতের নাম ইয়াকুব আলী তিনি উপজেলার শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিগলী ও শিবনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় রাত ৮টার দিকে ওই দুই গ্রাম এবং সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ সেতু এলাকায় ১৪৪ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম কবির নিশ্চিত জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ছাতক উপজেলায় বিকেলে শিলং তীর খেলা ও মদ খাওয়া নিয়ে দিঘলী গ্রামের ফয়ছল আহমদ ও শিবনগর গ্রামের সাজু মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে শালিস বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। উভয় গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গোবিন্দগঞ্জ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের দুই দিকে আটকা পড়ে বহু যানবাহন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এর মধ্যে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিবনগর গ্রামের ইয়াকুব আলী (৩০) মারা যান। সেখানে আরো আটজনকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষের পরও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় ছাতকের ইউএনও মো. গোলাম কবির সেখানে গিয়ে ওই দুই গ্রাম ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, সংঘর্ষে আহত শিবনগর গ্রামের ইয়াকুব আলী বুধবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সেখানে ভর্তি আছেন আরো আটজন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে।
ছাতকের ইউএনও মো. গোলাম কবির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিঘলী, শিবনগর ও গোবিন্দগঞ্জ সেতু এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।