জেকেজির সাবরীনা-আরিফসহ ৮ জনের ১১ বছর কারাদণ্ড
নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ ও সিইও আরিফুলসহ আটজনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি ধারায় তাদের প্রত্যেককে মোট ১১ বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ জুন যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক তোফাজ্জল হোসেন রায়ের দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১১ মে তাঁর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সাবরীনা ও আরিফুল নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট আলোচিত এই মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে ওই বছরের ১৩ আগস্ট ডা. সাবরীনা, আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ওই দিন আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করায় বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. সাবরীনা, সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অপর ছয় আসামি হলেন—শফিকুল ইসলাম রোমিও, জেবুন্নেসা, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী ও বিপ্লব দাস।
অভিযোগপত্রে ডা. সাবরীনা ও আরিফুল হক চৌধুরীকে এই অসাধুচক্রের মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাঁদের সহযোগিতা করেন বলে বলা হয়েছে।