দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শিগগিরই পদ্মাসেতুর সুফল ভোগ করবে : আমু
করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কা শেষ হলেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পদ্মাসেতু পায়রাবন্দরের সুফল ভোগ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, সাবেক শিল্পমন্ত্রী সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঝালকাঠি পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমু এ মন্তব্য করেন। শহরের কৃষ্ণকাঠি পেট্রোলপাম্প মোড়ে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয় উদ্বোধন শেষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দরের কারণে দক্ষিণাঞ্চের মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে। এখানে বিনিয়োগ বেড়েছে। শিল্প কলকারখানা হবে। এতে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। জমির মূল্য আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাবে। ফলে, এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।’
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সুগন্ধা নদী ভাঙনের কবল থেকে কৃষ্ণকাঠিবাসীকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বলেছি, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এ ছাড়া এ ওয়ার্ডের সব পুরোনো রাস্তাঘাট সংস্কার জন্য পৌর মেয়রকে বলা হয়েছে। এই এলাকার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে, তাঁর সব ব্যবস্থা করা হবে।’
পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুবলীগনেতা কামাল শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।