দুই জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল আটজনের
জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন আটজন। আজ শুক্রবার বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের খলিলুর রহমান (৫৫), পূর্ব কলকীহারা গ্রামের হরবাদশা (৪৫), একই গ্রামের আকিজা বেগম (৩৫), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়া গ্রামের কিশোর আনা মিয়া (১৫) ও জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কটুরিয়া গ্রামের আঙ্গুরী বেগম (৪৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের এ্যানি বেগম (২৬), তাঁর ছেলে নূর মোহাম্মদ (৬) ও চরবাগডাঙা ইউনিয়নের বাখরআলী গ্রামের ইয়ামিন আরাফাত (১০)।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা জানান, উপজেলার উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের খলিলুর রহমান আজ বিকেলে বৃষ্টির সময় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অপরদিকে, ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যান পূর্ব কলকীহারা গ্রামের হরবাদশা।
এদিকে, বৃষ্টির সময় একই গ্রামের আকিজা বেগম বাড়ির পাশে শুকাতে দেওয়া খড় আনতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় মাদারেরচর গ্রামের বুদু মিয়ার দুটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়।
অপরিদকে, দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত কবীর বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গামারিয়া গ্রামের কিশোর আনা মিয়া রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল। সে চিকাজানী দিঘীরপাড় এলাকায় পৌঁছালে বজ্রপাতে মারা যায়।’
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মায়মা জানান, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কটুরিয়া গ্রামের আঙ্গুরী বেগম আজ সন্ধ্যায় বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎহসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, বিকেলে ঝড়ের সময় বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যান মা-ছেলে। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান।
অন্যদিকে, চরবাগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হোসেন আলী ঝাটু জানান, ঝড়-বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে হঠাৎ বজ্রপাতে ইয়ামিন আরাফাত মারা যায়।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মৌদুদ আলম খাঁ বলেন, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে তাদের অনুদান দেওয়া হবে।