নতুন বউ নিয়ে লঞ্চের ছাদেই রওনা!
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বলতে আকদ পর্যন্ত হয়েছে। লকডাউনের কারণে আর আতিথেয়তার সম্ভব হয়নি। ছুটতে হয়েছে কর্মস্থলের জন্য। নতুন বউ নিয়ে অন্তত লঞ্চের কেবিনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল রাসেলের। তাও হলো না। অস্বাভাবিক যাত্রীর চাপে শেষে লঞ্চের ছাদেই ঠাঁই হয়েছে নবদম্পতির।
বরিশাল নদী বন্দরে কথা হয় নববিবাহিত রাসেলের বোন পারভিনের সঙ্গে। জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নে তাদের বাড়ি।
পারভিন জানান, বিয়ের কথাবার্তা ঠিক ছিল গত ঈদে। কিন্ত তখন লকডাউন পড়বে দেখে বিয়ের আয়োজন করা হয়নি। এরপর উভয় পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নেয় কোরবানির ঈদে। আমরা ভেবেছিলাম আগের ১৪ দিন লকডাউন দেওয়ায় কোরবানির পর আর লকডাউন দিবে না। এজন্য ঈদের পরের দিন বিয়ের আয়োজন করা হয়। গতকালও জানতাম না আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবার লকডাউন দিবে। আজ দুপুরে শুনেছি তখন কেবল আকদ হয়েছে। আয়োজন ছিল খাবারের। কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পরপরই খাওয়া-দাওয়া না করেই নতুন বউ নিয়ে ঢাকা রওনা দিয়েছি। যেতে কষ্ট হবে। কিন্তু কিছু করার নেই।’
রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করেন। নববিবাহিতা স্ত্রীর বাড়ি পাশের ইউনিয়নে বললেও নাম বলেননি রাসেল।
রাসেল বলেন, ‘চেষ্টা করতেছি লঞ্চে একটি কেবিন সংগ্রহ করার। কিন্তু পাচ্ছি না। নতুন বউ নিয়ে এভাবে খোলা আকাশের নিচে যেতে কেমন দেখায়। আর একটা দিন পরে লকডাউন দিলে আর সমস্যা হত না। না পারলাম কোরবানির মাংস খেতে, না পারলাম বিয়ের অনুষ্ঠানটা করতে।’
প্রসঙ্গত, আজ বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ১০টি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে পারাবত-১০ লঞ্চের ছাদে ঠাঁই হয়েছে ওই নবদম্পতির।