নানির কাছ থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার
নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদরের ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ওই শিশুকে নিয়ে তার নানি গতকাল রোববার সকালে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সিরিয়ালের জন্য তিনি পরীবানু নামের অপরিচিত এক নারীর কোলে শিশুটিকে দিয়ে নিচে স্বজনদের ডাকতে যান। এরই ফাঁকে দুদিন বয়সী ওই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান সেই নারী। এরপরই হাসপাতালের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এর মধ্যে দুপুরে চুরি হওয়া নবজাতকের নানি থানায় অভিযোগ করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মন্দী এলাকার চিত্তরঞ্জন মালাকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানায়, চিত্তরঞ্জনের মেয়ে লিপিকার বিয়ে হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। পরপর দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে এখনও তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জানতে পারে সেটাও কন্যা সন্তান। পরে অপরিচিতা এক নারী তাঁকে একটি ছেলেসন্তান এনে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘটনার দিন অপরিচিত নারীটি নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা দুই দিনের ওই নবজাতককে কৌশলে তাঁর নানির কাছ থেকে চুরি করে লিপিকার হাতে তুলে দেন। এর বিনিময়ে লিপিকা ওই নারীকে দুই হাজার টাকা দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘শিশুটি উদ্ধারে প্রযুক্তি আমাদের সহায়তা করেছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে আমরা চুরি করা নারীকে শনাক্ত করি। সবশেষ সদরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার চিত্তরঞ্জন মালাকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটি উদ্ধার করি ও মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিই।’
অভিযানের সময় যে নারী নবজাতকটিকে চুরি করেছে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনও মামলা ও কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তবে যে নারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’