নীলফামারীতে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ
নীলফামারীর জলঢাকা থানায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নেতা লিখিত অভিযোগ করেছেন। খুটামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রুবেলসহ আরও কয়েকজন মারধর করেছেন বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি আফজালুল হক আপন। গতকাল শুক্রবার রাতে জলঢাকা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগে আফজালুল হক আপন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেঙ্গনমারী তেতুঁলতলা নামক স্থানে আমার ওপর হামলা চালানো হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান দুলালের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার মাথায়, ঘাড়ে, বুকে, পিঠে এলোপাতাড়ি মারধোর করায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমাট বাঁধে ও ফুলে যায়। দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে প্রাণে রক্ষা পাই আমি।’
অভিযোগে খুটামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রুবেল, একই ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সভাপতি দুলাল আহসান হাবিব ছাড়াও আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ সভাপতির অনুসারী বলে ওই অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা আফজালুল হক আপন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমার পকেটে থাকা এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যান হামলাকারীরা। এ ব্যাপারে রাতেই আমি জলঢাকা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খুটামারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য নয়। ওই ছেলে ছাত্রলীগ করে। কিন্তু, আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে মন্তব্য করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।’
দুলাল বলেন, “সম্প্রতি ‘খুটামারা ইউনিয়ন এর অবৈধ কমিটি আর নেই। আর ভুয়া সভাপতি পরিচয় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার জন্য অনুরোধ করা হইলো’ এমন পোস্ট দেন আপন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই মন্তব্যের জেরে তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।’
জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতির ওপর হামলা করে ঠিক করেননি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।’
জানতে চাইলে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির এনটিভি অনলাইনকে জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।