পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে পানি
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভারতীয় অংশে ভারি বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার থেকে সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সোমবার আরো কয়েক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকার তাহিরপুরের যাদুকাটার, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদী ও দোয়ারাবাজারের চেলা নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হাওরের সবকটি স্লুইচ গেট পানি ঢোকার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল ৬টায় সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৬ দশমিক ৩৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৮৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা যাদুকাটা নদী ও চলতি নদী ও চেলানদী দিয়ে পানি বাংলাদেশে ঢল হয়ে প্রবেশ করছে। এতে করে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢলের পানি নদী হয়ে হাওরে প্রবেশ করছে। এরই মধ্যে সব হাওরের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সহিবুর রহমান বলেন, ‘গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৮৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন অংশের নদ-নদী দিয়ে পানি ঢল আকারে প্রবেশ করছে। এতে সুরমা নদীসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বেড়েই চলেছে।’