প্রাইভেটকারে জিম্মি করে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকায় এক ব্যক্তিকে প্রাইভেটকারে জিম্মি করে অর্থ আত্মসাৎ ও মারধর করার সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. সুদেব, তামিম চৌধুরী, আবু সাঈদ ও ফিরোজ আশরাফ হিমু। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ছয়টি মোবাইলফোন, নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, গাড়ির চাকা খোলার একটি ঢালী উদ্ধার করা হয়।
মওদুত হাওলাদার আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরে মেট্রোরেলের ৩ নম্বর স্টেশনের ১০৬ ও ১০৭ নম্বর পিলারের পশ্চিম পাশে এএসআই মো. সোহেল রানার নেতৃত্বে চেকপোস্ট চালানোর সময় একটি প্রাইভেটকারকে থামার সিগনাল দেন তারা। চালক গাড়িটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সোহেল রানা বাধা দেন এবং এএসআই গোলাম রসূল ও আসাদুল হক ফোর্সসহ মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়িটির পেছন থেকে ধাওয়া করে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন।
মওদুত হাওলাদার বলেন, তখন প্রাইভেটকারের ভিতর থেকে একজন চিৎকার করে বলেন যে, স্যার আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো. শওকত মিঞা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা জিম্মি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে মওদুত হাওলাদার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ভুক্তভোগীকে রাজধানীর কালসি এলাকা থেকে কৌশলে গাড়িতে উঠিয়ে জিম্মি করে। তারপর তার কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে। আর ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে আসামিরা। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।