ফিরে দেখা ২০২০ : চাঞ্চল্যকর যত রায়
চীনে শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস শুরুর দিকে বাংলাদেশে তেমন নাড়া দেয়নি। তাই মানুষ তেমন গুরুত্বও দেয়নি। তবে ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর বন্ধ হতে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিচার অঙ্গণ। বাড়তে থাকে আতঙ্ক-দুশ্চিন্তা। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর প্রথম খবর পাওয়া যায় ১৮ মার্চ। এরপরই দেশে ‘লকডাউন’ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে সরকার।
এর মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত আগস্টে আদালত খুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো শুরু হয় বিচারকাজ। দেশ-বিদেশে তুমুল কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রিফাত হত্যায় মিন্নির রায়, ধর্ষণের ঘটনায় দুই দিনের মধ্যে বিচারের রেকর্ড, ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মজনুর যাবজ্জীবনসহ অসংখ্য রায়। এগুলোর মধ্যে ১০টি মামলার রায় এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো :
বরগুনা রিফাত হত্যায় মিন্নির ফাঁসি
করোভাইরাসজনিত পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২০ সালে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল বরগুনার মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ (২৬) হত্যা মামলার রায়। এ মামলায় নিহত রিফাতের স্ত্রী ছিল এ মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু। ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততা এবং কী রায় হয় এটি ছিল জনসাধারণের কৌতুহলের মূল বিষয়বস্তু। কিন্তু রায়ে বিচারক বলেন, মিন্নি ছিল এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। পরে এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মিন্নিকে এ হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে আদালত বলেন, ‘নয়ন বন্ডের সঙ্গে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির অনৈতিক সম্পর্ক, বেপরোয়া জীবনযাপন এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।’
রিফাত হত্যায় দুদফায় বিচারকার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফায় প্রাপ্তবয়স্ক দশজনের রায় ঘোষণা করা হয়। এতে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ কিশোরের রায় ঘোষণা করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে ১০ বছর করে, চারজনকে পাঁচ বছর করে এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দুই দিনের মধ্যে রায়ে রেকর্ড
দেশে এই প্রথমবারের মতো মাত্র দুই কার্য দিবসে সাক্ষ্য, জেরা এবং যুক্তি-তর্ক শেষ করে ধর্ষণ মামলায় রায় প্রদান করে রেকর্ড করেছিলেন রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩-এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান। বাংলাদেশে এত স্বল্প সময়ে কোন মামলায় এত দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি করার ইতিহাস নেই। গত ২৪ নভেম্বর ধর্ষণের অভিযোগে করা এ মামলার রায়ে বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় আসামিকে খালাস প্রদান করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করে গত ২৩ নভেম্বর সাক্ষ্য ও জেরা করা হয়। পরদিন ২৪ ডিসেম্বর যুক্তি-তর্ক শেষে বিকেল ৫টায় রায় ঘোষণা করা হয়।
সাত দিনে রায়
এর আগে বাগেরহাটে মামলা দায়েরের পর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সাত কর্মদিবসেই শিশু ধর্ষণ মামলায় আব্দুল মান্নান সরদার নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম। এর আগে এত দ্রুত কোনো ধর্ষণ মামলার রায় হয়নি।
মজনুর রায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। গত ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনায় ৮ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ৯ জানুয়ারি মজনুর রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ জানুয়ারি মজনু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে মজনু কারাগারে আছেন।
পায়েল হত্যার রায়
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহণের বাসচালক ও দুই সহকারীকে গত ১ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে হানিফ পরিবহণের ভলভো বাসে করে ঢাকায় রওনা দেন পায়েল। পরদিন ২২ জুলাই ভোরে তিনি প্রস্রাব করার জন্য বাস থেকে নামেন। বাসে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন পায়েল। ‘দায় এড়াতে’ চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার মিলে আহত পায়েলের মুখ থেতলে দিয়ে নদীতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করা হয়। পায়েল হত্যা মামলায় গজারিয়া থানা পুলিশ বাসের সুপারভাইজার জনি, চালক জামাল হোসেন ও তাঁর সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আসামি করে গত বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পাপিয়ার রায়
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার দুটি ধারায় ২৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অস্ত্র মামলায় উভয়কে ২০ বছর করে এবং গুলি উদ্ধারের মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ গত ১২ অক্টোবর এই রায় দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লি যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান (৩৮) ও ব্যক্তিগত সহকারী সাব্বির খন্দকারকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হোটেল ওয়েস্টিন থেকে পাপিয়া ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী শেখ তায়্যিবাকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পাপিয়া, তাঁর স্বামী ও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়। মামলার পর তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।
প্রতারক সাহেদের রায়
অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়।
গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। সে মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব।
এ ছাড়া সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। এসব ঘটনায়ও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ হেফাজতে জনি হত্যার রায়
পুলিশি হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক পুলিশের দুই সোর্স সুমন ও রাশেদকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এটিই ছিল দেশে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রথম রায়।
লালবাগে আজিজ হত্যার রায়
রাজধানীর লালবাগের ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ চাকলাদার হত্যা মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, রাজধানীর লালাবাগ থানার বাসিন্দা ছিলেন আবদুল আজিজ চাকলাদার। এরশাদ শিকদার আজিজের মাধ্যমে রাজধানীতে বাড়ি ও প্লট কিনেছিলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে এসব তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার সন্দেহে ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ খুলনায় ডেকে নিয়েছিলেন এরশাদ শিকদার। আবদুল আজিজ চাকলাদার এক সপ্তাহ পর ফিরে আসবেন বলে বাসায় জানিয়ে যান। কিন্তু বাসায় ফিরে না আসায় আজিজের ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। পরে নিখোঁজের দেড় বছর পর এরশাদ শিকদার পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ২২টি খুনের কথা স্বীকার করেন। এর মধ্যে আবদুল আজিজও ছিলেন। এরপর তদন্ত শেষে এ ঘটনায় এরশাদ শিকদারসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মামলাটি দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে পড়েছিল। পরে মামলার এক আসামি নুরে আলম রাজসাক্ষী হওয়ায় ঘটনার ২১ বছর পর বিচারকাজ সম্পন্ন হয়।
শিশু সামিউল হত্যার রায়
রাজধানীর আদাবরের নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি (৫) হত্যা মামলায় গত ২০ ডিসেম্বর দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ঢাকার-৪ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে সামিউলের মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় ২০১০ সালের ২৩ জুন শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরে লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ওই বছরের ২৪ জুন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সেদিন আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে সামিউলের লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত সামিউল নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমে প্লে শ্রেণির ছাত্র ছিল।
শিশু সায়মাকে ধর্ষণ-হত্যার দায়ে হারুনের ফাঁসির রায়
রাজধানীর ওয়ারীতে স্কুলছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। গত ৯ মার্চ ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, আসামি হারুন অর রশিদকে গত বছরের ৭ জুলাই তাঁর বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরের দিন তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বর্তমানে হারুন অর রশিদ কারাগারে আছেন।