বগুড়ায় আদিবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ আহত ১৫, চোলাই মদ উদ্ধার
বগুড়া নন্দীগ্রাম উপজেলায় চোলাই মদ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাত পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর পুলিশ উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রামের বৃন্দাবনপাড়ায় আদিবাসীদের আস্তানা থেকে ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে।
দাসগ্রামের আদিবাসী পল্লীর জাম্বু মাহাতো বলেন, আগামী শনিবার তার দুই মেয়ে পাতা মাহাতো ও লতা মাহাতোর বিয়ে। বিয়ে উপলক্ষে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বর পক্ষের জন্য বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে রাখেন তারা। রাত ৯টার দিকে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ আদিবাসীদের ঘর তল্লাশিকালে তাদের নারী ও পুরুষদের মারপিট করতে থাকে। এতে আদিবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আদিবাসী নারী ও পুরুষ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে ঘিরে ফেলে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সুজন মাহাতো নামের একজনকে আটক করে। এ সময় জাম্বু মাহাতোর বাড়ি থেকে ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের মারপিটে আদিবাসীদের মধ্যে হরিদাস মাহাতো, ভক্তি রানী মাহাতো, অন্তরা মাহাতোসহ সাত-আটজন আহত হন। অপরদিকে নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমসহ সাত পুলিশ আদিবাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এসআই রেজাউল করিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর ছয় পুলিশ সদস্য স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর আদিবাসী পল্লীর অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ স্থানীয় দাসগ্রাম বাজারে অবস্থান নিয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানায়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদিবাসীদের হেফাজত থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে সাত পুলিশ আহত হন। এ ছাড়া তাদের হেফাজতে থাকা ১৮ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।