বঙ্গবন্ধু আলোর দিশারি হয়ে জাতিকে পথ দেখাচ্ছেন : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘শারীরিকভাবে হত্যা করা সম্ভব হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও নীতিকে খুনিরা হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু আজও আলোর দিশারি হয়ে জাতিকে পথ দেখাচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘আমি তোমাদেরই লোক’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা শুধু একজন ব্যক্তিকে হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যার অপচেষ্টা ছিল। খুনিরা মনে করেছিল শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করলে এ দেশে তাঁর নাম-নিশানা বলতে কিছু থাকবে না। তাঁর নাম নেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না। কিন্তু আজ সারা বাংলায় বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব বিদ্যমান। টুঙ্গিপাড়ায় শুয়ে যেন বঙ্গবন্ধু জাতিকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি মরেও অমর। তিনি চিরঞ্জীব।’
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনেক। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন। মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের জন্য টিসিবি গঠন করেছিলেন। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছিলেন। সেই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং সম্পৃক্ততা তুলে ধরার জন্য এই স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু খুব সহজে এবং কম সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন এবং কাছে টেনে নিতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে আমি বাবাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। তারা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা প্রমুখ।