বাউফলে দুর্বৃত্তদের হামলা ও সংঘর্ষে ২৯ জন আহত
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুপক্ষের সংঘর্ষে ২৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে বাউফল হাসপাতালে ও তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চন্দ্রদ্বীপ এলাকার চরমিয়াজান গ্রামের ইবতেদায়ি মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কনকদিয়া ইউপির বায়তুর নুর জামে মসজিদের সামনে ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের নাজমুল হাওলাদার করোনা উপলক্ষে দেওয়া চাল আনার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাসান দর্জি নাজমুলের গায়ে তার বাইসাইকেল উঠিয়ে দেন। এ নিয়ে ফোরকান দর্জি ইউপি মেম্বর প্রার্থী বাবুল হাওলাদার গ্রুপ ও নাজমুল হাওলাদার অপর মেম্বার প্রার্থী কামাল হোসেনের পক্ষের সমর্থক সংঘর্ষে জড়ায়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে দুই গ্রুপের লোকজন এসে লাঠি ও লোহার পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে কামাল গ্রুপের কালু হাওলাদার, আকলিমা, লাইজু বেগম, কামাল হাওলাদার, সালাম হাওলাদার, কালাম হাওলাদার ও তাছলিমাসহ নয়জন আহত হয়। অপরদিকে, বাবুল গ্রুপের জিয়াউর রহমান, সাইফুল হাওলাদার, ইউসুফ মৃধা, সোহেল, ইদ্রিস, নাসিরসহ ১২ জন আহত হয়। ওই সময়ে বাবুল গ্রুপের লোকজন সালাম হাওলাদারে বাড়িতে গিয়ে তিনটি ঘরে তাণ্ডব চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূর আহম্মেদ সাঈদ জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালু হাওলাদার, আকলিমা ও জিয়াউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রাতে তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মনিরুজ্জামান (৩৬) নামের এক মুসল্লিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে কতিপয় দুর্বৃত্ত। উপজেলার কনকদিয়া ইউপির বায়তুর নুর মসজিদের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। চিৎকার শুনে মসজিদের মুসল্লিরা তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আরও পাঁচ মুসল্লিকেও পিটিয়ে জখম করে তারা। ওই ঘটনায় পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহতরা অভিযোগ করেন, গভীর রাতে বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচলে নিষেধ করায় স্থানীয় টিপু, লাচ্ছি, মক্কা ফিরোজ ও ইয়াবা ডালিম তাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, চন্দ্রদ্বীপের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব। কনকদিয়া এলাকার ঘটনায় পুলিশ তদন্তে করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।