বাউফল পৌরশহরের সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও সড়কের অবস্থা দেখে তা মনে হয় না। পৌরশহরের আওতাধীন প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দর। এক পশলা বৃষ্টি হলে পানি জমে যায় সেসব খানাখন্দে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
খরা মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও চলতি বর্ষায় ভোগান্তি চরমে। শহরের প্রায় ৬৫ শতাংশ সড়কের অবস্থাই এমন। সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি পৌরবাসীর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার ভেতরে শেরেই বাংলা সড়ক, মুসলিম পাড়া-পৌর ভবন- হোসনাবাদ সড়ক, ফুলতলা সড়ক, গোলাবাড়ি ব্রিজ-পালপাড়া সড়ক, মহিলা কলেজ-সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলামের বাসভবন সড়ক, বকুলতলা সড়ক, গার্লস স্কুল রোড সংযোগ পৌরভবন সড়ক, কাগজিরপুল-হোসনাবাদ সড়ক, ডা. মোমেন সড়কসহ শহরের বেশিরভাগ সড়কের বেহাল দশা। প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। খানাখন্দকে ভরে গেছে সড়কগুলো। পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কগুলো যেন মরণ ফাঁদ। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পৌর বাসিন্দা মো. সোহাগ, রাকিব ও শামিম বলেন, আমাদের দরকার একটু ভালো রাস্তাঘাট। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই। বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। পৌরসভায় বসবাস করেও যদি ভালো রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারি, তাহলে পৌরসভা দিয়ে কী হবে?
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন, বাউফল পৌরসভা কাগজে-কলমে প্রথম শ্রেণির হলেও সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও বাউফল পৌরসভায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। যা শহরের রাস্তাঘাট দেখলেই বোঝা যায়।
সড়কগুলোর বেহাল দশার কথা স্বীকার করে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।