বাগেরহাটে জুট মিল থেকে ২০ হাজার মে. টন চাল জব্দ
বাগেরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মজুদ করা ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গুদাম থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
অবৈধ মজুদের অপরাধে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তী নামের এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৬ খুলনার ইমেল বার্তায় এই তথ্য জানানো হয় ।
র্যাব-৬ আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন। এ সময়ে র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গুদামের মধ্যে বিপুল পরিমাণ চাল পাওয়া যায়। এই চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় মজুধ করা হয়েছিল। গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ চালগুলো সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া যায়নি।’
বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এই চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চালের মান খারাপ বলে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে মাত্র দুই-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভাল। গুদামে ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল রয়েছে। জুট মিলে এত চাল থাকার কথা নয়। সব চাল ভাল থাকার পরও তারা চাল নষ্ট বলছে। অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দ্যেশ্য এই চাল মজুদ করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা থাকবে।’