বাঘাইছড়িতে এমএন লারমার কর্মীকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) বিশ্বমিত্র চাকমা (৩৫) নামের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। উপজেলার বাবুপাড়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে আজ বুধবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা দাবি করেন, ‘নিহত বিশ্বমিত্র আমাদের দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সুজন চাকমা নামের আমাদের দলের আরেক কর্মীর হাতে তিনি খুন হয়েছেন। সুজন গোপনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সঙ্গে যে আঁতাত করেছিলেন, সেটা আমরা জানতাম না। গত রাতে একসঙ্গে থাকাকালে তিনি বিশ্বমিত্র চাকমাকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে গিয়ে সন্তু লারমার দলে যোগ দিয়েছেন বলে জেনেছি।’
নিহত বিশ্বমিত্র চাকমা সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানান সুদর্শন চাকমা।
তবে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা বলেন, ‘আমরা এসবের কিছুই জানি না। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অভ্যন্তরীণ বিরোধে একজন মারা গেছেন—এমন খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এই বিষয়ে নিহতের স্বজনেরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার পর আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’