বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান বাংলাদেশ : কানাডায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী
কানাডায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘কানাডা বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় লাভজনক স্থান। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্যাকেজ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করা হয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যেমে বিনিয়োগকারীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী গত বৃস্পতিবার রাতে কানাডার সাসকাটসিওয়া প্রদেশের সরকারের ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী জেরিমে হেরিসন এবং কৃষিমন্ত্রী ডেভিড মেরিটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব ইকোনমিক জোনে পৃথিবীর অনেক দেশ এরই মধ্যে বিনিয়োগ করেছে। অনেক দেশের প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। কানাডার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। কানাডার বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। কৃষি ক্ষেত্রেও কানাডা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী কানাডায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। কানাডা শিক্ষা ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে। কানাডার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন যে, বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি এবং পরিবেশ বেশ ভালো। বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের বিষয়ে কানাডা বেশ আগ্রহী।’
এ সময় সাসকাটসিওয়া প্রদেশের সরকারের ডেপুটি ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার জোডি ব্যাংক, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ভিসচার, বাণিজ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, কানাডার ওটটাওয়া বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) সাকিল মাহমুদ এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর অন্যান্য সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।