ভালোবাসার টানে ভারতীয় তরুণী সুনামগঞ্জে, অতপর জেলহাজতে
প্রেমের টানে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসেন ভারতের এক তরুণী। প্রবাসী প্রেমিক আব্দুস সাত্তারের (২৭) বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এরপর তাঁর সম্মতিতে মোবাইল ফোনেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় বাহরাইনে থাকা আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে।
এদিকে, ঘটনাটি বিজিবি জেনে ফেলার পরই ঘটে বিপত্তি। গতকাল বুধবার রাতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি ওই তরুণীকে আটক করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রেমিক আব্দুস ছাত্তার সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। এ ছাড়া ভারত থেকে আসা ওই তরুণীর বাড়ি ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মুগুর আলী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আব্দুস সাত্তার পাঁচ বছর আগে একটি মামলায় আসামি হলে পালিয়ে ভারতের আসামে যান। সেখানেই পরিচয় হয় ওই তরুণীর সঙ্গে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। বছর খানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে। দেশে আসার পর তিনি বাহরাইনে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।
গত মঙ্গলবার বাহরাইন থেকে ওই তরুণীকে ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশ আসার জন্য বলেন প্রবাসী আব্দুস সাত্তার। সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে তরুণীকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে বিজিবি খবর পেয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে ওই ভারতীয় তরুণীকে। অনুমতি ছাড়া দেশে প্রবেশ করায় তাঁর বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা করে বিজিবি। পরে রাতেই তাঁকে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
সুনামগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানান, দোয়ারাবাজার থেকে আটককৃত ভারতের তরুণীকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ভালোবাসার কারণে ভারতের এক তরুণী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে বিজিবি তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজকে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে তোলা হয়।