ভৈরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুরিয়ারকর্মীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসে উঠতে গিয়ে মো. মিজানুর রহমান (৫৫) নামে এক কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার টিএ রোড এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
গতকাল (২০ মে) শনিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়কসেতুর ভৈরবপ্রান্তের টোলপ্লাজা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গাড়িটি আটক করলেও ড্রাইভার পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রতক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী সোহাগ পরিবহণের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-২৪১৯) একটি বাসে মিজানুর রহমান উঠতে চান। এ সময় বাসে ওঠার আগেই বাসটি গতি বাড়িয়ে দিলে তিনি নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় টোলপ্লাজায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিজানুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিনীতা দাস জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মিজানুর রহমানে মৃত্যু হয়েছে। মাথায় আঘাতে কান দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব টোলপ্লাজার ইনচার্জ মো. আলী জানান, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখতে পাই মিজানুর রহমানসহ তিনজন যাত্রী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সোহাগ পরিবহণের বাসটিকে থামতে ইশারা দেন। পরে উঠতে গেলে বাসটি গতি বাড়িয়ে চলে যায়। এ সময় মিজানুর রহমান বাসের সাথে ধাক্কায় নিচে পড়ে যান।
নিহতের মেয়ে লিপি বেগম জানান, তার বাবা মিজানুর রহমান কন্টিনেন্টাল কুরিয়ারের কাজে ভৈরবে এসেছিলেন। বাসে করে বাড়ি ফিরতেই তিনি নাটাল টোলপ্লাজা এলাকায় গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সোহাগ পরিবহণের বাসের ধাক্কায় মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় জনতার সহায়তায় আশুগঞ্জ থেকে বাসটি আটক হলেও ড্রাইভার পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।