মডেল তিন্নি হত্যায় অভিযুক্ত কে এই অভি?
আলোচিত মডেল তারকা তিন্নি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গোলাম ফারুক অভি। তিন্নি হত্যা মামলার শুরু থেকেই পলাতক তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় রয়েছে অস্ত্র মামলা। যে মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনি। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
অভির রাজনৈতিক জীবন
গোলাম ফারুক অভি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ বর্জন ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে জাতীয় পার্টির যোগদানকে কেন্দ্র করে ১৯৯৮ সালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। তৎকালীন পার্টির মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে গোলাম ফারুক অভিসহ দলের দশ জন সংসদ সদস্য সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে একটি সংসদীয় গ্রুপ গঠন করেন।
১৯৯৯ সালে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) গঠন করা হলে গোলাম ফারুক অভি ওই দলে আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন। ২০০১ সালে বরিশাল-২ আসন থেকে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।
বর্তমান অবস্থান
সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি বর্তমানে কানাডায় পলাতক রয়েছেন। অভির পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতনের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বর অভির পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তাই তিনি পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন কানাডার অটোয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে। কিন্তু, বহুবার লিখিত তাগিদ দেওয়ার পরও তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি। তিনি বিচারের সম্মুখীন হতে চান। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট দিচ্ছে না বাংলাদেশ হাইকমিশন।
যেভাবে হলেন তিন্নির হত্যাকারী
সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি ও শাফাকাত হোসেন পিয়ালের পরিবারে ছিল শিশুকন্যা। ভালোই চলছিল তাঁদের। এরই মধ্যে তিন্নির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে অভির। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে গড়ে ওঠা এমন সম্পর্কের একপর্যায়ে অভির পরামর্শে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তিন্নি-পিয়ালের দাম্পত্য জীবন। মেয়েকেসহ স্বামীকেও বের করে দেন ঘর থেকে। কিন্তু, অভি সেই বিয়ের আশ্বাস বাস্তবায়ন করেননি। পরে মিডিয়ায় তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে হুমকি দিলে প্রাণ হারাতে হয় তিন্নিকে।
২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর পুলিশের তদন্তকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক আদালতে যে অভিযোগপত্র দেন, তাতে উঠে আসে এসব তথ্য।